কলকাতা: বেআইনি নির্মাণ ভেঙে রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়কে অবিলম্বে আগের চেহারায় ফেরানোর নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাজনৈতিক দলের প্রতীক, পতাকা-সহ যাবতীয় জিনিস সরিয়ে ফেলতে হবে বলে জানিয়েছে আদালত। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের ভিতর রাজনৈতিক দলের সমস্ত বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ৪৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে কলকাতা পুরসভাকে।
জোড়াসাঁকোতে রবীন্দ্রভারতীর ক্যাম্পাসে বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। গত নভেম্বর মাসেও রবীন্দ্রভারতী ক্যাম্পাসের মধ্যে বেআইনি নির্মাণ ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এক্ষেত্রে বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার মামলার শুনানিতে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ যাবতীয় নির্মাণ ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে। বলা হয়েছে, অবিলম্বে হেরিটেজ ভবনকে আগের অবস্থায় ফেরাতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব বেআইনি নির্মাণ ভাঙার কাজ শুরু করতে হবে পুরসভাকে।
™ুরসভাকে ভর্ৎসনা করে বিচারপতির আরও মন্তব্য, ‘আপনারা যদি চোখ বন্ধ রাখেন কী ভাবে হবে? ইচ্ছা থাকলে ছয় ঘণ্টার মধ্যে ভাঙার কাজ শুরু করা যায়।’ পুরসভার উদ্দেশে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, ‘যত দ্রুত সম্ভব নির্মাণ ভাঙা দরকার। বুধবারের মধ্যে ভেঙে ফেলুন। প্রত্যেকেই মেনে নিয়েছে সেখানে নিয়ম মেনে নির্মাণকাজ হয়নি। তা হলে এত দিন ধরে ফেলে রাখার প্রয়োজন কী?’
কলকাতা হাইকোর্ট সূত্রে খবর, এই হেরিটেজ স্বীকৃতি পাওয়া ভবনে কয়েকটি ঘর রয়েছে যা ব্যবহার হয় না। সেখানে বেআইনিভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। এই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন জনৈক স্বদেশ মজুমদার। সেখানে দু’টি ঘর ভেঙে বেআইনি নির্মাণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলা হয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রথম দেখা হয়েছিল এই ঘরে। সেটা সরেজমিনে দেখে রিপোর্ট জমা পড়েছিল আদালতে। আর তারপরই মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ সরাসরি বেআইনি নির্মাণ ভাঙার নির্দেশ দিয়েছেন।