বালিগঞ্জে ভারত সেবাশ্রম সংঘে উদ্ধার প্রবীণ সন্ন্যাসীর ঝুলন্ত দেহ

বালিগঞ্জে ভারত সেবাশ্রম সংঘে উদ্ধার হল প্রবীণ সন্ন্যাসীর ঝুলন্ত দেহ। সোমবার ভোরে মঙ্গল আরতি সেরে ফিরে এমন দৃশ্য দেখে হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলেন বাকি সন্ন্যাসীরা। ঘরের সামনে গ্রিল থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। স্বামী শুভরূপা নন্দ ওরফে প্রদ্যোৎ মহারাজকে এমন অবস্থায় দেখতে হবে তা ভাবতেও পারেননি কেউ। প্রায় ৫০ বছর ধরে ভারত সেবাশ্রম সংঘে ছিলেন তিনি।
প্রবীণ মহারাজের এমন মৃত্যু ঘিরে থমথমে পরিবেশ সেখানে । সন্ন্যাসীরা জানাচ্ছেন, ভোরবেলা মঙ্গল আরতির জন্য সকলে মন্দিরে গিয়েছিলেন। প্রবীণ সন্ন্যাসী ঘরেই ছিলেন। গত কয়েকদিন ধরেই তিনি অসুস্থ ছিলেন। সকলে ফিরে এসে দেখেন এই দৃশ্য । সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে নামিয়ে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। প্রদ্যোৎ মহারাজের শরীরে তখন প্রাণ ছিল না। প্রাথমিকভাবে এটা আত্মহত্যা বলেই সংঘের অন্যান্যদের অনুমান। তবে সন্ন্যাসী মহারাজ এমন কাজ কেন করলেন তা নিয়েই প্রশ্ন। সাধারণত, সন্ন্যাসী বা আধ্যাত্মিকতার জগতের মানুষদের সুখ-দঃখ বাইরের প্রভাবে তুলনায় কম বিচলিত করে। মনকে তাঁরা সেভাবেই প্রস্তুত করার চেষ্টা করেন। বাঁকুড়ার বাসিন্দা প্রদ্যোৎ মহারাজ। দীর্ঘ সময় ভারত সেবাশ্রম সংঘে কাটিয়েছেন।
সংঘের প্রধান সম্পাদক স্বামী বিশ্বাত্মানন্দ জানিয়েছেন, বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিন। রাতে তাঁর ঘুম হচ্ছিল না। ইনসমনিয়া ভুগছিলেন। সেই সঙ্গেই বলতেন মন ভাল নেই। রাতে হাঁটতেন। চরম অবসাদ থেকেই তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন বলে অনুমান ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের কর্তৃপক্ষের।
প্রবীণ সন্ন্যাসীর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তাঁর অস্বাভাবিক মৃত্যুর নেপথ্যে কী কারণ থাকতে পারে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × five =