শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার হল গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ। বউমা আত্মহত্যা করেছে বলে মৃতার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা দাবি করলেও, মৃতার বাপের বাড়ির দাবি তাঁদের মেয়েকে খুন করা হয়েছে। কারণ, ৯ মাসের কন্যাসন্তান রেখে কিছুতেই তাঁদের মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারেন না।
ঘটনাটি ঘটেছে ভাটপাড়া থানার কাঁকিনাড়ার রথতলা কবরস্থান মাঠ এলাকায়। মৃতার নাম শ্রেয়া মুখোপাধ্যায় (২১)। বৃহস্পতিবার তাঁর শ্বশুরবাড়ি থেকে দেহ উদ্ধার হয়। এলাকার বাসি¨ারা জানান, মেয়ের কান্নার আওয়াজ পেয়ে তাঁরা ওই বাড়িতে ছুটে আসেন। দেখেন, ঘরে গৃহবধূর দেহ ঝুলছে। বাড়িতে সে সময় অন্য কেউ ছিলেন না। মৃতার বাবা সোমনাথ ব¨্যােপাধ্যায় ভাটপাড়া থানায় জামাই শুভম মুখোপাধ্যায়, শ্বশুর গৌতম ও শ্বাশুড়ি মৌসুমীরবিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। মৃতার মা পাপিয়া ব¨্যােপাধ্যায়ের দাবি, তাঁদের মেয়ে কোনওমতেই আত্মহত্যা করতে পারেনা। মেয়েকে মেরে ঝুলিয়ে দিয়েছে স্বামী-সহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন। মেয়ের ওপর অত্যাচারের অভিযোগও তুলেছেন তাঁরা।
তবে সব অভিযেগ উড়িয়ে দিয়ে মৃতার শাশুড়ি মৌসুমী মুখোপাধ্যায় বলেন, বউমাকে তাঁরা মারধর করেননি। বরং এদিন সকালের দিকে পরিবারে অশান্তি চলাকালীন বউমা তাঁকে মারধোর করে। তখন স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে তিনি ভাটপাড়া থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন। থানা থেকে বাড়িতে ফিরে তারা দেখেন বউমা আত্মহত্যা করেছে। মৃতার আত্মীয়া শ্যামলী সাহা জানান, ২০২২ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি দেখাশুনা করেই শ্রেয়ার সঙ্গে কাঁকিনাড়া রথতলার বাসি¨া বেসরকারি ব্যাঙ্কের কর্মচারী শুভমের বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু বিয়ের তিন মাস পর থেকেই সংসারে অশান্তি শুরু হয়। তাঁর অভিযোগ, ‘ওরা শ্রেয়ার ওপর নির্যাতন চালাতো।’
গৃহবধূকে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে নাকি আত্মহত্যা করেছে, তা খতিয়ে দেখছে ভাটপাড়া থানার পুলিশ। যদিও পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। পুলিশ ইতিমধ্যে মৃতার স্বামীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।