ফের রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যদের নিয়ে বৈঠক ডাকলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রবিবার বিকালে রাজভবনে ডাকা হয়েছে এই বৈঠক। এই বৈঠকে বাধ্যতামূলক ভাবে সকল উপাচার্যকে উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক অবস্থায় খোঁজ নিতেই বৈঠক বলে রাজভবন সূত্রে খবর। উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য সরকার ও রাজ্যপালের দ্বন্দ্ব যখন চরমে উঠেছে, তখনই ফের এই বৈঠকের ডাক রাজ্যপালের।
তবে এই প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠক করবেন না রাজ্যপাল। এর আগেও রাজভবনে উপাচার্যদের নিয়ে বৈঠক করেছিলেন আনন্দ বোস। ম্যাকাউটের সল্টলেক ক্যাম্পাসেও উপাচার্যদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এ ভাবে বৈঠক করা যায় কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল বিভিন্ন মহলে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, রাজ্যের সঙ্গে টানাপোড়েনের পরও নিজের অবস্থানে অনড় রাজ্যপাল।
রাজ্যপাল যেদিন উপাচার্যদের নিয়ে বৈঠক ডাকলেন, সেদিনই ফের রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। রাজ্যপাল পদ বিলুপ্তিরও দাবি তুলে তিনি জানান, ‘একটা সাদা হাতির মতো পদ, যে পদ রাখার আদেও কোনও যৌক্তিকতা আছে কিনা দেখা দরকার।’ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের উদ্দেশে কটাক্ষ ছুড়ে ব্রাত্য এও বলেন, ‘আমি চালভাজা আমি মুড়ি। আমি আচার্য আমি উপাচার্য।” রাজ্যপালের পাশাপাশি রাজ্যপাল নিযুক্ত উপাচার্যদের উদ্দেশেও কড়া বার্তা দেন ব্রাত্য।বলেন, ‘কবির মেয়াদ তো আর ৫-৬ মাস। যারা ডুডু ও তামাক খেলেন, আমি কি তাদের হুমকি দেব? আমি কি তাদের বলব এক মাঘে শীত যায় না?’ একইসঙ্গে তাঁর সংযোজন, ‘এখন কিছু উপাচার্য ডুডুও খেতে চাইছেন আবার তামাকও। তাদের হয়েই আমি লড়েছিলাম তখন।’ শিক্ষামন্ত্রীর এই কথা থেকেই এটাও স্পষ্ট যে রাজ্য-রাজভবন সংঘাত যে থামার নয়। আর এরই মাঝে রবিবারের বিকেলে বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয় সেটাই এখন দেখার।