মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ রাজ্যের একটি পৃথক পরিচিতি গড়ে তুলতে নীল- সাদা রং ব্যবহার করার নীতি নিয়েছেন। সমস্ত সরকারি ভবন, রাস্তার ধারের রেলিং,সরকারি গণপরিবহণ নীল রঙে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। এবার তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে শহর কলকাতায় চলা অটোর রং নীল-সাদা করার পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্যের পরিবহন দপ্তর।
সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী সপ্তাহে নতুন অটো নীতি ঘোষণা করতে যাচ্ছে রাজ্য পরিবহণ দপ্তর। তাতেই এই সিদ্ধান্তের ঘোষণা থাকতে পারে। অটো ইউনিয়নগুলির তরফেও প্রাথমিকভাবে পরিবহণ দপ্তরের এই উদ্যোগে সামিল হওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া মিলেছে বলে জানা গিয়েছে। অটো নীতি ঘোষণার কিছু দিনের মধ্যেই এই রং পরিবর্তন করার ব্যাপারটিতে হাত দেওয়া হবে।
পরিবহণ সূত্রে খবর, একই পারমিট নিয়ে অটো চলে কলকাতা ও শহরতলীতে। বহু চেষ্টা করেও, ওই বিষয়ে লাগাম পরাতে পারেনি ট্রাফিক পুলিশ কিংবা পরিবহণ দপ্তর। এবার তাই কলকাতা ও শহরতলীর অটোর রং আলাদা করে দেওয়া হচ্ছে।
কলকাতায় চলা অটোগুলির রং হবে নীল-সাদা। তবে জেলা কিংবা শহরতলীতে চলা অটোগুলির রং সবুজ হলুদ কিংবা হলুদ-কালোই থাকবে। কলকাতায় অটোয় রং পরিবর্তন করতে অটোচালক কিংবা মালিকদের আলাদা করে কোনও টাকা দেবে না পরিবহণ দপ্তর। তবে রং নিয়ে ডিলারদের সঙ্গে কথা বলিয়ে দেবে, যাতে দামে কিছুটা কম পড়ে। এছাড়া শহরে নিত্যযাত্রীদের বেশির ভাগের অভিযোগ , অটো চালকরা উপরি ভাড়ার জন্য দাদাগিরি করে। কোথাও কাটা রুটের যন্ত্রণা, তো কোথাও দুর্ব্যবহার, কষ্টের শেষ নেই আম আদমির, আবার কোথাও অটো চালকের হাতে শ্লীলতাহানির শিকার অটোযাত্রীই। সমস্যাটা শুধু দক্ষিণে নয়ে উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম- ছবিটা সর্বত্র একই। রং বদল করে এই সমস্যারও কিছুটা সমাধান করা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।