মদ বিক্রির টাকায় চলে এ রাজ্যের সরকার: জিতেন্দ্র

নিজস্ব প্রতিবেদন, অণ্ডাল: মদ বিক্রির টাকায় চলে এ রাজ্যের সরকার, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ অণ্ডালের আক্রান্ত বিজেপি যুব নেতাকে দেখতে এসে এহেন বিস্ফোরক অভিযোগ করেন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি।
এদিন আক্রান্ত বিজেপি যুব নেতাকে দেখতে এসে পুলিশের কাজ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তিনি। মদ নিয়েই এই ঝামেলা কিনা জিতেন্দ্রবাবুকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘মদের টাকাতেই চলে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এ রাজ্যে আপনি যান কোনও ßুñল খোলার অনুমতির জন্য আপনি অনুমতি পাবেন না, কিন্তু মদ বিক্রির জন্য গেলে ঢালাও লাইসেন্স পাওয়া যায়।’ পাশাপাশি তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আমাদের পড়শি রাজ্য বিহারে যেমন সরকার মদ বিক্রির ব্যান করেছে, এ রাজ্যেও সরকার কেন মদ বিক্রি ব্যান করছে না? আসলে মদ বিক্রির টাকায় চলে এ রাজ্যের সরকার।’
উল্লেখ্য, বিজেপি যুব মোর্চার রানিগঞ্জের ২ নম্বর মণ্ডল সভাপতি সঞ্জয় চৌধুরীকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়াল অণ্ডাল থানার অধীন কাজোড়া মোড় সংলগ্ন এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাতে। সঞ্জয়ের ওপর হামলা করার অভিযোগে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মদ বিক্রি সংক্রান্ত গণ্ডগোলের জেরে সঞ্জয়ের মাথা ফাটে। কিন্তু সঞ্জয় দাবি করেছেন, তাঁদের দোকানে মুদির সামগ্রী কিনতে এসে না পাওয়ায় স্থানীয় কয়েকজন তৃণমূল কর্মী তাঁর ওপর হামলা করেছেন। তৃণমূলের তরফে অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে জানানো হয়েছে। সঞ্জয়ের দাবি, মদ বিক্রির কথা সম্পূর্ণ মিথ্যা, এক তৃণমূল কর্মী তাঁর রেশন দোকানে সামগ্রী কিনতে এসেছিলেন। তিনি যে সামগ্রী চেয়েছিলেন তারমধ্যে কিছু জিনস ছিল না দোকানে। তাই দেওয়া যায়নি। এই নিয়ে আমার ভাইয়ের সঙ্গে ঝামেলা হয় ওই তৃণমূল কর্মীর। আমি বাইরে এসে দেখি ওই তৃণমূল কর্মী তাঁর অনুগামীদের নিয়ে এসে ভাইয়ের ওপর চড়াও হয়েছে। বাধা দিতে গেলে ওঁদের মধ্যে একজন রড দিয়ে মেরে আমার মাথা ফাটিয়ে দেয়। থানায় গিয়েছিলাম পুলিশের নির্দেশমতো প্রথমে চিকিৎসা করিয়েছি।’
অন্যদিকে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের জেলা যুব সভাপতি পার্থ দেওয়াসির দাবি, ‘এটা কোনও রাজনৈতিক ঝামেলা নয়। সঞ্জয়দের ওই দোকান থেকে অবৈধ ভাবে মদ বিক্রি হয়। মদ বিক্রি সংক্রান্ত গণ্ডগোলের জেরে মাথা ফাটে। এখানে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। তবে বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর নেব।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seventeen − ten =