ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসবেন ঋষি সুনকই। লিজ ট্রাসের পর সে দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই রাজনীতিকই। ব্রিটেনের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হবেন ঋষি। সোমবার দীপাবলির রাতে এল এই সুখবর। ২৮ অক্টোবর তিনি শপথ গ্রহণ করবেন।
কনজারভেটিভ পার্টির সদস্য ঋষি ব্রিটেনের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীও বটে। ব্রিটেনের সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক সঙ্কটে তিনিই যে যোগ্য প্রার্থী হতে পারেন, এ দাবি করেছিলেন তিনি। তাঁর পক্ষে পার্লামেন্টের ১৯১ সদস্যের সমর্থন রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এদিন ‘হাউস অফ কমন্স’-এ কনজারভেটিভ পার্টির (টোরিও বলা হয়) ৩৫৭ জন সাংসদের অর্ধেকেরও বেশি ঋষি সুনকের (Rishi Sunak) পক্ষে ভোটদান করেন। লড়াইয়ে টিকে থাকতে প্রয়োজনীয় ন্যূনতম ১০০ জন এমপির ভোট টানতে ব্যর্থ হয়েছেন পেনি মরড্যান্ট। বলে রাখা ভাল, পেনি ১০০ জন এমপি-র সমর্থন পেলে লড়াই অন্য মাত্রা পেত। কারণ, তখন দেশজুড়ে থাকা কনজারভেটিভ পার্টির প্রায় দু’লক্ষ ভোটার অনলাইন ভোটিংয়ের মধ্যমে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী বেছে নিতেন। আর তেমন হলে পেনি মরড্যান্ট কিছুটা সুবিধাজনক অবস্থানে থাকতেন।
প্রসঙ্গত, দাদাভাই নওরোজি যেদিন জিতেছিলেন, তার ১২৩ বছর পরে, ২০১৫ সালে ব্রিটেনে আর-একটি সাধারণ নির্বাচন হয়। সেবারে ইয়র্কশায়ারে রিচমন্ড (ইয়র্কস) নির্বাচনী কেন্দ্র থেকে কনজারভেটিভ প্রার্থী হিসাবে জয়ী হন ভারতীয় বংশোদ্ভূত তরুণ ঋষি সুনক। সাউদাম্পটন শহরে জন্ম। এদেশের সবচেয়ে ঐতিহ্যশালী, অভিজাত স্কুলগুলির একটি, উইনচেস্টার কলেজে পড়াশোনা। তারপর অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। সেখান থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড। বাকিটা এবার ইতিহাস।