কলকাতা : ভবানীপুরে গুজরাতি দম্পতি খুনের ঘটনায় ধরা পড়ল আরও একজন। ধৃতের নাম বিশাল বর্মন। তাকে উত্তরপ্রদেশের মথুরা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর।এ নিয়ে জোড়া হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার হল মোট চার জন।
পুলিশ জানিয়েছে, ভবানীপুরের ব্যবসায়ী দম্পতি অশোক শাহ ও তাঁর স্ত্রী রশ্মিতাকে খুনের পরেই লিলুয়া পালিয়ে যায় বিশাল। সেখানই কিছুদিন গা ঢাকা দিয়েছিল সে। পরে ট্রেনে চেপে উত্তরপ্রদেশে চলে যায়। শুক্রবার গভীর রাতে মথুরার একটি বাড়ি থেকে পাকড়াও করা হয় তাকে।
এর আগে আরও তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাদের নাম সুবোধ সিং, যতীন মেহতা ও রত্নাকর নাথ।ধৃতদের জেরা করেই বিশালের নাম জানতে পারে পুলিশ।তবে এই খুনে মূল অভিযুক্ত হিসেবে নাম উঠে আসছে দীপেশের। তাকে ধরা না গেলেও ধরা পড়েছে বিশাল। সে কীভাবে এই খুনে যুক্ত ছিল, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
তদন্তকারীরা বলছেন, সুবোধই ছুরি চালিয়ে খুন করে অশোক শাহকে। তার বাড়ি বিহার। সে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। তাকে শালিমার স্টেশন থেকে ধরা হয়। রত্নাকর নাথ ওড়িশার বাসিন্দা। তাকে ধরা হয় লিলুয়া থেকে। যতীন মেহতা গুজরাতের জামনগরের বাসিন্দা। তাকেও সেখান থেকেই গ্রেফতার করা হয়।
জানা গেছে, অশোক শাহের কাছ থেকে ২০১৯ সালে এক লক্ষ টাকা ধার নিয়েছিল এই ঘটনায় যাকে মূল চক্রী ভাবা হচ্ছে সেই দীপেশ। দীপেশ নিহত অশোক শাহের মেজো জামাইয়ের পরিচিত। পুলিশ একপ্রকার নিশ্চিত আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত কারণেই এই খুন।জানা গিয়েছ, অশোক শাহ তাঁর টাকা ফেরত চাইছিলেন। কিন্তু অভিযুক্ত দিতে নারাজ ছিল।এরপরেই খুনের ঘটনা ঘটে। পূর্ব পরিকল্পিত খুনকে লুঠ বা ডাকাতির রূপ দিতে ঘরের আলমারি থেকে ৩০ হাজার টাকা ও কিছু গয়না চুরি করে তাড়াহুড়ো করে পালায় অপরাধীরা। পরে তাদের একে একে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।