কলকাতা: বাগুইআটিতে দুই পড়ুয়াকে অপহরণ ও খুনের তদন্ত এগোতেই হাতে তদন্তকারীদের এল নতুন সূত্র। খুনের দিন যাতায়াতে ব্যবহৃত ভাড়া করা গাড়ি থেকে বিশেষজ্ঞরা মোট সাতটি আঙুলের ছাপ চিহ্নিত করল। জোড়া খুনের তদন্তে বুধবার রাতেই ভাঙড় থানায় পৌঁছয় সিআইডি-র টিম। থানার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়।
বসিরহাটের হাড়োয়া থানার কুলটি ও ন্যাজাট থানার শিরিষতলা এলাকায়, যেখানে দুই যুবকের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছিল, বৃহস্পতিবার দুপুরে ফরেন্সিক টিম পৌঁছয় সেখানে। সঙ্গে ছিলেন সেন্ট্রাল ফরেন্সিক ল্যাবের সদস্যরাও। কলকাতা থেকে সুন্দরবনগামী বাসন্তী হাইওয়ের শিরিষতলার সেই মেছোভেড়ি সংলগ্ন জায়গাটিকে দড়ি ও বাঁশের খুঁটি দিয়ে ঘিরে ফেলা হয় সকালেই। সিআইডি-র ফরেনসিক টিম গাড়ি থেকেও নমুনা সংগ্রহ করছে বলে খবর।
প্রসঙ্গত তদন্তে উঠে এসেছিল, খুনের জন্য ভাড়া করা হয়েছিল কর্নাটকের গাড়ি। গাড়ি থেকে সংগ্রহ করা হয় ফিঙ্গারপ্রিন্ট, ফুটপ্রিন্ট। তা আততায়ীদের বলেই মনে করা হচ্ছে। খুনের মূলে কতজন ছিল? গাড়িতে ওইদিন কতজন ছিল, সেই তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহেই গাড়ির ফরেনসিক পরীক্ষা। পরবর্তীতে দেহ উদ্ধারের জায়গায় যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকেও তথ্য সংগ্রহ করবে ফরেনসিক দল।
এদিকে এই ঘটনায় এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় থেকে এক যুবককে আটক করল সিআইডি। তার নাম রবিউল মোল্লা বলে সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে। তিনি ভাঙড়ের পোলেরহাটের বাসিন্দা। এর আগে পুলিশ জোড়া হত্যাকাণ্ডে চার জনকে গ্রেপ্তার করেছিল। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই রবিউলের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এখনও মূল চক্রী সত্যেন্দ্র চৌধুরী অধরা।
বাগুইহাটি থানায় গিয়ে তদন্তকারী দলের সঙ্গে কথা বলবে ফরেনসিক টিম। নমুনা সংগ্রহ করা হবে উদ্ধার হওয়া গাড়ির। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত চারজনই গ্রেফতার হয়েছে। তবে মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র এখনও পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি চলছে।
জোড়া খুনে কর্তব্যে গাফিলতির জের। বুধবারই ক্লোজ করা হয়েছে বাগুইআটি থানার আইসিকে। সাসপেন্ড করা হয়েছে ওসি কল্লোল ঘোষকে। তার বদলে বিমানবন্দর থানার আইসি শান্তনু সরকারকে বাগুইহাটি থানার নতুন ইন্সপেক্টর ইনচার্জ পদে আনা হয়েছে। বিধান নগর গোয়েন্দা শাখার ইন্সপেক্টর সলিল মণ্ডলকে আইসি এয়ারপোর্ট দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।