হাওড়া : কারোর বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে, কারোর বা বাবাকে জেলে খুন করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে, কারোর পরিবার পেয়ছে প্রাণ নাশের হুমকি। বহু বাড়ির সদস্যরা এখনও ঘর ছাড়া। এমনই অভিযোগ নিয়ে দেশের সাংবিধানিক প্রধান রাষ্ট্রপতির কাছে তাদের পরিস্থিতির কথা জানাতে দিল্লি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন নির্যাতিতদের পরিবারের সদস্যরা।
শুধু আদালতের উপরেই ভরসা করে বসে থাকা নয়। এবারে রাষ্ট্রপতির কাছে সরাসরি তাদের অভিযোগ জানানোর জন্য মঙ্গলবার ভোট পরবর্তী হিংসার বলি হওয়া পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ২৫ জন রাজধানী এক্সপ্রেসে তাদের গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন। তারা চান এই বিষয়টিতে রাষ্ট্রপতি হস্তক্ষেপ করুন। তারা যেন ন্যায্য বিচার পান। তারা চাইছেন অবিলম্বে রাষ্ট্রপতি এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করুক রাজ্যে। প্রসঙ্গত, ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের পর ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সরব হয়েছিল বাম, কংগ্রেস সহ বিজেপি বিরোধী দলগুলি।
দলীয় কর্মীদের বাড়িতে হামলা সহ মারধরের ঘটনার বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেও প্রতিবাদ করে রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। একই ইস্যুতে বারবার প্রকাশ্যেই সরব হয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। বিজেপির অভিযোগ, ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের পরবর্তী সময় থেকে অনেক বিজেপি কর্মী সন্ত্রস্ত। আক্রান্ত হয়েছেন অনেকেই। অনেকে আবার সন্ত্রাস ও হিংসার ভয়ে ঘরছাড়া হয়ে রয়েছে। প্রায় এক বছর অতিক্রান্ত হতে চলেছে। তারা কেউ ভয়ে ঘরে ফিরতে পারছেন না। ফের আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে তাদের ঘর ছেড়ে অনত্র দিন কাটাতে হচ্ছে। শুধু বিধানসভা নির্বাচনই নয়। ২০১৮-র রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরও অনেকে সন্ত্রাসের শিকার হয়ে ঘর ছেড়েছিলেন। তাঁদের কেউ কেউ ফিরলেও, অনেকে ফিরতে পারেনি ঘরে।
যাঁরা ফিরেছেন তাঁরা তৃণমূলে যোগ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফিরতে হয়েছে বলে বিজেপির অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে বিজেপির পক্ষ থেকে অনেক মামলা করা হয়েছে কলকাতা উচ্চ আদালতে। এবার শুধু আদালতের ওপর ভরসা করে বসে থাকা নয়, সরাসরি দেশের সাংবিধানিক প্রধানের হস্তক্ষেপ চেয়ে আবেদন করতে দিল্লী রওনা দিলেন নির্যাতিত পরিবারের সদস্যরা।