সালাউদ্দিন খুনে একাধিক ব্যক্তি জড়িত থাকার দাবি পরিবারের, সাতদিনের পুলিশি হেপাজত অভিযুক্তর 

বীরভূম: বীরভূমের ইলামবাজারের জঙ্গলে কলেজ পড়ুয়া অপহরণ করে খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার (arrest) করেছে পুলিশ। তবে মৃতের কাকার দাবি, এই খুন একার পক্ষে সম্ভব নয়। এর সঙ্গে একাধিক ব্যক্তি জড়িত থাকতে পারে বলে তাদের অভিমত।
ইলামবাজারে কলেজ পড়ুয়ার অপহরণ করে খুনের ঘটনায় খুনি হিসেবে শেখ সলমনের পাশাপাশি আরও দুই তিন জন রয়েছে খুনের ঘটনায় যুক্ত। সুপারি কিলার দিয়ে সলমন শেখ সালাউদ্দিনকে ফোন করেছে। এমনটাই দাবি সালাউদ্দিনের কাকা সৈয়দ আধুল মঈনের। মঈনের দাবি, সালাউদ্দিন ও সলমন এদের আট থেকে দশ জনের বন্ধুদের টিম ছিল। কিন্তু সালাউদ্দিন ও সলমন মদ খাওয়া তো দূরের কথা কখনো পান, বিড়ি, সিগারেট খায় না। তাহলে ঘটনাস্থল থেকে কিভাবে মদের বোতল ও আরো সরঞ্জাম উদ্ধার হল? ছাত্রের অপহরণ করে খুনের ঘটনায় ঘটনাস্থলে ফরেনসিক ও সিআইডির আধিকারিকরা। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছেন। এখনও পর্যন্ত যেখানে সালাউদ্দিনের দেহ পড়েছিল সেখানে একটি বিয়ার ও একটি হুইস্কি মদের বোতল ও তিনটে প্লাস্টিকের গ্লাস উদ্ধার করেছে সিআইডি ও ফরেনসিকের টিম। অন্যদিকে ইলামবাজারে কলেজ পড়ুয়াকে অপহরণ করে খুনের ঘটনায় ধৃত শেখ সলমনকে সোমবার বোলপুর মহকুমা আদালতে পেশ করে ইলামবাজার থানার পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে সালমান কে দশ দিনের পুলিশি হেপাজতে নেওয়ার জন্য আবেদন করে ইলামবাজার থানার পুলিশ। বোলপুর মহকুমা আদালত সাত দিনের পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × 2 =