রিষড়ায় ঢুকতে বাধা তথ্য অনুসন্ধানকারী দলকে, ফিরতে বাধ্য হলেন প্রতিনিধিরা

হুগলি: রিষড়া যাওয়ার আগেই আটকে দেওয়া হল দিল্লির তথ্য অনুসন্ধানকারী দলকে । ১৪৪ ধারা জারি থাকায় তাঁদের ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে জানায় স্থানীয় প্রশাসন। শেষপর্যন্ত গাড়ি ঘুরিয়ে কলকাতা ফেরে ওই দল।
রামনবমী ঘিরে অশান্তিù শুরু হয় হুগলির রিষড়ায়। সেই অশান্তিù সামাল দিতে না দিতেই ফের তপ্ত হয়ে ওটে শহরের ৪ নম্বর রেলগেট চত্বর। পরিস্থিতি এতটাই অশান্তù হয়ে ওঠে যে, ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায় কয়েক ঘণ্টার জন্য। পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। রিষড়ায় এসে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন খোদ রাজ্যপাল। হনুমান জয়ন্তùীতে কেন্দ্রীয় বাহিনীও মোতায়েন করা হয় রিষড়ায়।
জানা গিয়েছে, শনিবার ছ’জনের একটি প্রতিনিধি দল যাচ্ছিলেন রিষড়া কাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলতে। দুপুরে রিষড়া ঢোকার বেশ কিছুটা আগেই শ্রীরামপুরের বাঙ্গিহাটি মোড়ে দিল্লি রোডে তাদের কনভয় আটকে দেওয়া হয়। পুলিশ জানায়, ১৪৪ ধারা জারি থাকায় কোনও প্রতিনিধি দলকেই এই মুহূর্তে রিষড়া যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না।
সূত্রের খবর, রিষড়ায় আসার আগে এই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম বা তথ্য অনুসন্ধানকারী দলের সদস্যরা ছিলেন কলকাতার একটি হোটেলে। সেখান থেকেই সোজা রওনা দেন রিষড়ার উদ্দেশে। কিন্তু, রিষড়া ঢোকার আগে শ্রীরামপুরের বাঙ্গিহাটি দিল্লি রোডে তাঁদের কনভয় আটকায় পুলিশ। ফিরে যেতে বলা হয়। ছয়জনের একটি প্রতিনিধি দল আজ যাচ্ছিলেন রিষড়াকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলতে। সেখানকার রিপোর্ট তাঁদের জমা দেওয়ার কথা কেন্দ্রের কাছে। বাধা পাওয়ার পর অনুসন্ধানকারী দলের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ তর্ক-বিতর্কও চলে পুলিশের।
প্রতিনিধি দলের সদস্যরা প্রশ্ন তোলেন, তাঁরা কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিত্ব করছেন না, তাহলে কেন তাঁদের আটকানো হবে! ওই এলাকায় গিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলে কিছু তথ্য সংগ্রহ করতে চান তাঁরা। কিন্তু প্রশাসন তাদের বাধা দিচ্ছে।
পুলিশের সঙ্গে ঘন্টাখানেক দড়ি টানাটানির পর অবশেষে ফিরে যেতে বাধ্য হয় তথ্য অনুসন্ধানকারী দল। যাওয়ার আগে তাঁরা বলেন, এ দেশের আইন সব মানুষকে দেশের যে কোনও জায়গায় যাওয়ার অধিকার দিয়েছে। তাঁরা ১৪৪ ধারা মেনে একজন একজন করে যেতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তাতেও তাঁদের আটকানো হয়েছে। টিমের অন্যতম সদস্য রাজপাল সিং বলেন, ‘কী লুকোতে চাইছে পুলিশ? আমরা রিষড়ায় গিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলতাম। সেদিন পুলিশের কী ভূমিকা ছিল? মানুষের কতটা ক্ষতি হয়েছে? সে বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতাম। সেই কাজে আমাদের বাধা দেওয়া হয়েছে।’
বৈঠক করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেই জানিয়েছেন তাঁরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty − eleven =