তীব্র দাবদাহ। রোদে বের হলেই জ্বলছে ত্বক। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া আম জনতাকে এপ্রিলেই করেছে কুপোকাত। হাঁসফাঁস গরমে শ্রীহীন দশা ত্বকেরও। সান ট্যানে মুখে পড়ছে কালচে ছোপ। আবার বাতাসে আদ্রতা বাড়লেই গলগলিয়ে ঘামে বাড়ছে ব্রণর সমস্যা।
ত্বক ভালো রাখতে ইদানীং অভিনেত্রীর বরফ শীতল পাত্রে মুখ ডুবিয়ে তরতাজা ত্বকের ছবি ভাইরাল।কিন্তু প্রশ্ন হল বাস্তবেও কি বরফ শীতল জলে মিলবে আরাম? ত্বক হবে কোমল, সুন্দর!
বাস্তবে কিন্তু জানা যাচ্ছে তেমনটাই…
দিনে এক থেকে দুবার বরফ যদি ত্বকে আলতো করে ঘষে নেওয়া যায় বিশেষত মুখে বা বরফ জলে ১০ সেকেন্ড অন্তত মুখ ডুবিয়ে রাখা যায় উপকার মিলবে অনেকটাই।
বরফ ফেসিয়াল বা থেরাপি
উপকারিতা
ফোলাভাব কমায়- অনেক সময় মুখে ফোলাভাব থাকে। চোখের নীচেটা ফোলা থাকে। বরফ থেরাপি সেই সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।
ছিদ্রগুলিকে ছোট করে- মুখে অসংখ্য রোমকূপ থাকে। ত্বকে থাকে খুব সূক্ষ্ম ছিদ্র। বরফ শীতল জলের সংস্পর্শে সেই ছিদ্রগুলি সংকুচিত হয়ে যায়। ফলে বরফ থেরাপির পর গরমের দিনে মেকআপ করলে তা দীর্ঘস্থায়ী ও আরও সুন্দর হয়।
জ্বালাপোড়া কমায়- প্রবল গরমে ত্বকে ব়্যাশ, প্রদাহ হয়। কোনও কোনও জায়গা লাল হয়ে যায়। জ্বালা দেয়। বরফ যদি ত্বকে বুলিয়ে দেওয়া যায় তাহলে আরাম মেলে। জ্বালাভাব কমে যায়।
ত্বক টানটান করে- বরফ থেরাপির একটা অত্যন্ত ভালো দিক হল নিয়মিত অভ্যাসে ত্বক উজ্জ্বল ও টাইট হয়। অর্থাত্ ত্বক টানটান রাখতে এটা খুব ভালো কাজ দেয়।
রক্ত সঞ্চালন বাড়ে-বরফ জলে মুখ ১০-৩০ সেকেন্ড যদি ডুবিয়ে রাখা যায় তাহলে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। ক্লান্ত ত্বক দ্রুত তরতাজা হয়ে ওঠে।
তবে হ্যাঁ খুব বেশি কোনওটাই ভালো নয়। দিনের শুরুতে বা রাতে শুতে যাওয়ার আগে অথবা কোথাও কোনও পার্টিতে বের হওয়ার আগে বরফ থেরাপি করতে পারেন।তবে খুব যদি ঠান্ডা লাগার সমস্যা থাকে তখন এটা না করাই ভালো।