আলিপুর চিড়িয়াখানার পশুপাখিরা গরমে কেমন আছে, দেখতে এল এস্টিমেট কমিটি

কলকাতা: তাপমাত্রার পারদ চড়ছে চড়চড়িয়ে। গরম তো নয়, বেলা বাড়তেই রাস্তায় নামলে যেন আগুনের হলকা এসে লাগছে চোখে-মুখে। প্রবল গরমে আলিপুর চিড়িয়াখানার পশু পাখিরাও নাজেহাল। বেশিরভাগ পশুকেই নিয়মিত স্নান করানো হচ্ছে। স্প্রিংকলার এনেও খাঁচাগুলিতে জল ছড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বাড়তি জলের জোগান বাড়ানোর জন্য পুরসভাকে অনুরোধ করেছে বন দপ্তর।
এবার গরমে পশুপাখিরা কেমন আছে দেখতে সোমবার সকালে চিড়িয়াখানায় হাজির হলেন বিধানসভার এস্টিমেট কমিটির সদস্যরা। ১০ জনের একটি প্রতিনিধি দল আসেন। এই কমিটিতে ছিলেন তৃণমূল ও বিজেপির বিধায়করা। উদ্দেশ্য, তীব্র গরমে পশু পাখিদের কী অবস্থা, চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সেই সব দেখে বিধানসভায় রিপোর্ট পেশ করা।
এস্টিমেট কমিটির এক সদস্য জানান, চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের কাজ দেখে, তাঁরা সন্তুষ্ট। পরিদর্শনের পর, কমিটির ১০ জন মিলে আলোচনা করে, তবেই রিপোর্ট পেশ করা হবে। আলিপুর চিড়িয়াখানা এশিয়ার পুরনো চিড়িয়াখানার মধ্যে অন্যতম। এই চিড়িয়াখানা যাতে সঠিক অবস্থায় থাকে এবং কর্তৃপক্ষ যাতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন সেই সব দিকে নজর রাখা হবে।
প্রসঙ্গত তাপপ্রবাহ শুরুর পর থেকেই চিড়িয়াখানার পশুপাখিদের খাবারের তালিকায় বদল এসেছে। শিম্পাঞ্জি বাবুকে দেওয়া হচ্ছে দইয়ের ঘোল থেকে মরসুমি ফল। বেশিরভাগ পশুর জলে গুলে দেওয়া হচ্ছে ওআরএস। জলহস্তিরা জলেই ডুবে থাকছে। জলহস্তি, বাঘ, হাতি যে সমস্ত খাঁচায় কৃত্রিম জলাশয় রয়েছে সেগুলোর জলও নিয়মিত পাল্টে দেওয়া হচ্ছে। বাঘকে সকালে স্নান করানো হচ্ছে। বেলা বাড়তে বাঘ নিজেই কৃত্রিম জলাশয়ে গা ডোবাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
চিড়িয়াখান সূত্রে জানা গিয়েছে, পশুপাখিরাও গরমে কাহিল। ওরাও ছায়া খুঁজছে। ছায়াতেই থাকতে বেশি পছ¨ করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nine − 1 =