ব্যারাকপুর : জমির প্রবেশ পথ আটকে রাতারাতি পার্ক গড়ে তোলার অভিযোগ উঠেছে ভাটপাড়া পুরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের শ্যামনগর গাঙ্গুলি পাড়ায়। শুধু তাই নয়, আদালতও এই নির্মাণ কার্য বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। তা সত্ত্বেও মূলাজোড় ভারতচন্দ্র গ্রন্থাগারের ঠিক উল্টোদিকে গড়ে উঠেছে এই পার্ক। অভিযোগের তির স্থানীয় বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম ও স্থানীয় কাউন্সিলর শম্পা ব¨্যােপাধ্যায়ের দিকে। জমির মালিক বৃদ্ধা কাজলি গঙ্গোপাধ্যায় জানাচ্ছেন, পার্কের পাঁচিল ভাঙতে বিধায়ক তাঁর কাছে ছয় লক্ষ টাকা দাবি করেছে। সংবাদ মাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে অবৈধভাবে পার্ক তোলার বিষয়ে সরব হয়েছিলেন ব্যারাকপুর কেন্দ্রের সাংসদ অর্জুন সিং। শনিবার বেলায় ভাটপাড়া পুরসভার উদ্যোগে গড়ে ওঠা নবনির্মিত এই পার্ক পরিদর্শন করেন সাংসদ অর্জুন সিং। জমির মালিক অসহায় বৃদ্ধা কাজলি গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে তিনি কথাও বলেন। এদিন তিনি ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘জমিতে ঢোকার রাস্তা আটকে পার্ক তৈরি করা খুব অন্যায় কাজ হয়েছে। অবিলম্বে এই পার্ক ভেঙে ফেলা উচিত।’ সাংসদের আক্ষেপ, জমির রাস্তা আটকে পার্ক গড়ে তোলায় শ্যামনগর অঞ্চলের মানুষের কাছে খারাপ বার্তা পৌঁছছে। অর্জুন সিং বলেন, ‘যদিও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছে গিয়েছে। আশা করছি, নিশ্চয়ই এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
সাংসদের কথায়, তিন বছর তিনি দলে না থাকার সুযোগে কিছু অ্যাক্সিডেন্টাল লোক তৈরি হয়ে গেছে। যারা কোনওদিন সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়াই করেনি। ঘটনাচক্রে তারা তৃণমূলে এসে পদ পেয়ে গেছে। তারাই এখন এসব করে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। সাংসদের সাফ বার্তা, দলকে বদনাম করার চেষ্টা করলে বরদাস্ত করা যাবে না। সাংসদের অভিযোগ, কিছু অসাধু শক্তি ওই বৃদ্ধার জমি দখল করে প্রমোটিং করার ফন্দি এঁটেছিল। তাঁর কথায়, ‘অশুভ শক্তিকে দমন করতেই হবে। দলের সর্বোচ্চ নেত্রী ঠিক এদের দমন করবেন।’
এদিন সাংসদ ছাড়াও হাজির ছিলেন পুরসভার সিআইসি হিমাংশু সরকার, কাউন্সিলর প্রবীর বৈদ্য, সত্যেন রায় ও সোমনাথ তালুকদার, কাউগাছি-১ তৃণমূল সভাপতি স্বপন মণ্ডল, তৃণমূল নেতা শ্যামল তলাপাত্র প্রমুখ। এদিকে সাংসদ পাশে দাঁড়ানোর আরও সাহস পেলেন জমির মালিক অসহায় বৃদ্ধা কাজলি গঙ্গোপাধ্যায়। কাজলি দেবীর কথায়, সাংসদ পাশে দাঁড়িয়েছেন এটাই তাই কাছে বড় পাওনা।