হাওড়া পুরনিগমের কপালে জটিলতার মেঘ সম্ভবত কাটতে চলেছে। যদি সবকিছু ঠিকঠাক থাকে তাহলে আগামী ডিসেম্বর মাসেই হতে চলেছে হাওড়া পুর নিগমের বকেয়া নির্বাচন ৷ যদিও এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে এই প্রসঙ্গে কোনও ঘোষণা করা হয়নি। তবে রাজ্যের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক ভবন নবান্ন সূত্রে এমনটাই ইঙ্গিত মিলছে বলেই জানা যাচ্ছে৷
নবান্ন সূত্রের খবর রাজ্যপালের স্বাক্ষর সম্বলিত আইনি জটিলতার কারণেই আটকে রয়েছে হাওড়া পুরনিগমের ভোট। রাজ্যপালের সই না করানোর জন্য ভোট করাতে পারছে না রাজ্য সরকার ৷ কারণ, হাওড়া পুরনিগমের পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত বিলটি বিধানসভায় পাশ হলেও এখনও তাতে রাজ্যপালের স্বাক্ষর সম্বলিত সিলমোহর পাওয়া যায়নি ৷ ফলে তাই একে রাজ্য সরকারের পক্ষেও আইনে পরিবর্তন করা সম্ভব হয়নি৷ এই প্রেক্ষাপটে হাওড়া পুরনিগম এলাকায় নির্বাচনও করাতে পারছে না রাজ্য৷ তাই অহেতুক জটিলতা কাটাতে সংশ্লিষ্ট বিলে রাজ্যপালের স্বাক্ষর ছাড়াই ভোট করানোর কথা ভাবছে রাজ্য সরকার ৷ যদিও সেই বিষয়টি নিয়ে উঠছে সাংবিধানিক প্রশ্ন। আদৌ কি রাজ্যপালের সই ছাড়া আইন পাশ না হয়েও নির্বাচন আদৌ সম্ভব কি না তা নিয়ে অভিজ্ঞ মহল বলছে, এমনটা করা সম্ভব নয়৷ এখন প্রশ্ন এটাই, রাজ্য সরকার তাহলে কিসের ভিত্তিতে এই রাস্তাতে হাঁটতে চলতে চাইছে। এতে যে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হওয়ার আশঙ্কা দেখছেন সংবিধান বিশেষজ্ঞরা তাকে কিভাবে মোকাবিলা করবে রাজ্য সরকার, এখন সেটাই দেখার।
প্রসঙ্গত, আগে হাওড়া পুরনিগমের মধ্যেই ছিল বালি এলাকা ৷ সব মিলিয়ে ওয়ার্ডের সংখ্যা ছিল ৬৬ ৷ কিন্তু, পরবর্তীতে আলাদা করে বালি পুরসভা গঠন করা হয় ৷ তার ফলে হাওড়া পুরনিগম এলাকায় ৫০টি ওয়ার্ড পড়ে থাকে ৷ আর বালি পুরএলাকা গঠিত হয় সংশ্লিষ্ট ১৬ টি ওয়ার্ড নিয়ে ৷ সূত্রের দাবি, হাওড়ার এই বর্তমান ৫০টি ওয়ার্ড ভেঙে যদি সংখ্যাটা ৬৬ করে দেওয়া যায়, তাহলে রাজ্যপাল হাওড়া পুরনিগমের পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত বিলে স্বাক্ষর না করলেও সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডগুলিতে নির্বাচন করানো সম্ভব ৷ সেক্ষেত্রে চলতি বছরের শেষেই ভোট প্রক্রিয়া সেরে ফেলতে চায় রাজ্য সরকার ৷