দেশে লোকসভা ভোটের আদর্শ আচরণ বিধি জারি হওয়ার পর থেকেই রাজ্যে রাজ্যে প্রশাসনিক স্তরে লাগাতার ধাক্কা দিয়ে চলেছে নির্বাচন কমিশন। কিছুদিন আগেই বাংলায় রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারকে সরিয়ে দিয়েছে কমিশন। সেই ঘটনার রেশ কাটার আগেই এদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকালে কমিশন এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্যের ৪টি জেলার জেলা শাসকদের তাঁদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকারকে। সেই নির্দেশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে নবান্ন থেকে ১২জন আইএএস আধিকারিকের নাম পাঠিয়ে দেওয়া হল নির্বাচন কমিশনের কাছে। সেখান থেকেই ৪টি জেলার জন্য ৪জন আধিকারিকের নাম বেছে নেবে কমিশন। সেই বাছাই ৪জনকেই কমিশন ৪টি জেলার জেলা শাসক পদে নিয়োগের নির্দেশ দেবে রাজ্য প্রশাসনকে। সেই নির্দেশ পেয়েই পরবর্তী পদক্ষেপ করবে রাজ্য প্রশাসন।
এদিন সকালে বাংলার ৪টি জেলার জেলা শাসকদের সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ জারি করে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এই ৪টি জেলা হল – পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বীরভূম ও পূর্ব বর্ধমান। যে ৪জন জেলা শাসকের ওপরে কমিশনের কোপ নেমে এসেছে এরা হলেন – পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জেলা শাসক তানভির আফজল, ঝাড়গ্রামের জেলা শাসক সুনীল অগ্রওয়াল, বীরভূমের জেলা শাসক পূর্ণেন্দু কুমার মাজি এবং পূর্ব বর্ধমানের জেলা শাসক বিধানচন্দ্র রায়। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, ওই ৪ জেলার জেলাশাসকেরা নির্বাচন কমিশন রাজ্যের চার জেলার জেলাশাসক কে সরিয়ে দিয়েছে। জেলা গুলি হলো পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব বর্ধমান, ও বীরভূম। কমিশন সূত্রে খবর, ওই জেলাশাসকরা কেউই আইএএস ক্যাডারের অফিসার নন। তাঁরা ডব্লিউবিসিএস থেকে পদোন্নতি হয়ে আইএএস হয়েছেন। তাই তাঁদের জেলাশাসক পদ থেকে সরানো হল।