বিদায়বেলায় এসে পৌঁছেছে তেইশের বিশ্বকাপ। ছয় দলের অভিযান লিগ পর্বেই শেষ। এ বিশ্বকাপ দিন বদলের সাক্ষী। ছোট দল, দুর্বল দলে বলে কিছু হয় না, তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে এই বিশ্বকাপ। নিজের দিনে সেরা ক্রিকেট খেলে যে কোনও প্রতিপক্ষকেই হারানো যায়। আফগানিস্তান, নেদারল্যান্ডসের মতো তথাকথিত ছোট দল অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী দলকে হারিয়েছে। বিশ্বকাপের যোগ্যাতাঅর্জন পর্বেই দুর্দান্ত পারফরম্যান্স নেদারল্যান্ডসের। মূল পর্ব নিশ্চিত হতেই ডাচ ক্রিকেট বোর্ড সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করেছিল ‘নমস্তে ইন্ডিয়া’। ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীদের থেকে যে সম্মান পেয়েছেন, ডাচ ক্রিকেটাররা সেই সম্মান ফিরিয়েও দিয়েছেন। শেষ ম্যাচে ভারতের কাছে হেরে এ বারের অভিযান শেষ। বিদায়বেলায় আবেগে ভাসছেন ডাচ ক্রিকেটাররা। ভারত থেকে অনেক ভালোবাসা, স্মৃতি নিয়ে দেশে ফিরছেন বাস ডি লিড, লোগান ভ্যান বিকরা। ভারত-নেদারল্যান্ডস ম্যাচের পরের কিছু মুহূর্ত শেয়ার করেছে আইসিসি।
রবিবার গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ভারতের কাছে হেরে শেষ হয়েছে ডাচদের বিশ্বকাপ সফর। বিশ্বকাপে যোগ্যতাঅর্জন পর্ব থেকে গ্রুপ পর্ব সবেতেই ছাপ ফেলেছে নেদারল্যান্ডস। একযুগ আগে ভারতের মাটিতেই শেষ বার ওডিআই বিশ্বকাপ খেলেছিল তারা। ফিরেছিল খালি হাতে। এ বার বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে দু’টি জয়, ডাচদের জন্য কম কিছু নয়। সংখ্যা দিয়ে সবসময় সাফল্য বিচার করা যায় না। মন জয় করাটাও অন্য সাফল্য। ভারতকে বিদায় জানানোর সময় আবেগে ভাসছেন ডাচরা। বিরাট কোহলির থেকে ভালোবাসার জার্সি উপহার পেলেন রোলেফ ভ্যান ডার মারওয়ে। তাঁকে বুকে টেনে নেন কিং কোহলি। মহম্মদ সামি বোলিং পরামর্শ দেন ডাচ পেসারদের। পারস্পরিক এই ভালোবাসাই তো ক্রিকেটের সৌন্দর্য। আইসিসির শেয়ার করা ভিডিয়োতে ধরা পড়েছে এই সব মুহূর্ত। ভারতের বহু তারকাকে দেখে ক্রিকেটকে ভালোবেসেছে ডাচরা। সেই ভারতে বিশ্বকাপ, স্বাভাবিকভাবেই আলাদা একটা অনুভূতি।
ডাচ তারকা আর্য দত্তকে বলতে শোনা গিয়েছিল, মহেন্দ্র সিং ধোনির হাতে বিশ্বকাপ দেখেই, ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা তাঁর। বিরাট, অশ্বিনদের দেখে অনেক কিছু শিখেছেন ডাচ ক্রিকেটাররা। তাই ভারতের প্রতি একটা আলদা আবেগ সবসময়ই কাজ করে ডাচদের মধ্যে। এ ছাড়া দলে বিক্রমজিৎ সিং, আর্য দত্ত, নিদামানুরুর মতো ভারতীয় বংশোদ্ভুত ক্রিকেটাররাও রয়েছে। ‘নিজের’ দেশ থেকেই অনেক ভালোবাসা নিয়ে দেশে ফিরছেন বাস ডি লিডরা। আবার চার বছরের অপেক্ষা!