শিক্ষা দপ্তর থেকে চেয়ে পাঠানো সেই নথি হাতে পেলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সূত্র মারফৎ এমনই জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, শিক্ষা দপ্তর থেকে আসা ওই নথিগুলি ইতিমধ্যেই খতিয়ে দেখতে শুরু করে দিয়েছে সিবিআই। যেসব নথি চেয়ে পাঠানো হয়েছিল, সেই নথিগুলি সব ঠিকঠাক এসেছে কি না, তাও নেড়েচেড়ে দেখে নিচ্ছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা। সেই সব নথি খতিয়ে দেখার পর প্রয়োজন হলে আবার রাজ্যের শিক্ষা সচিব মণীশ জৈনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলেই জানা গেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে।
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে রাজ্যের শিক্ষা সচিব মণীশ জৈনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। সেখান থেকে বেশ কিছু তথ্য কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের হাতে এসেছিল। সেই সূত্র ধরে শিক্ষা দপ্তর থেকে বেশ কিছু নথি চেয়ে পাঠায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই নিয়ে বিকাশ ভবনে চিঠিও পাঠানো হয় সিবিআইয়ের তরফে। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি ও সিবিআই দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাই আলাদাভাবে তদন্ত চালাচ্ছে। ইডির তরফে যে চার্জশিট জমা করা হয়েছে, তাতে শিক্ষাসচিব মণীশ জৈনেরও নাম ছিল। ইডির দাবি অনুযায়ী, যাঁরা ইন্টারভিউয়ের আয়োজন করে দিতেন, তাঁদের তালিকায় ছিলেন মণীশ জৈনও। যদিও তা মানতে রাজি নন রাজ্যের শিক্ষা সচিব। তাঁর দাবি, প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় তাঁকে কোনওদিন কোনও ইন্টারভিউ আয়োজন করতে বলেননি। আর সেই কারণেই চার্জশিটে তাঁর নাম উঠে আসায় বেশ অবাকও হন তিনি।