পুর নিয়োগে সিবিআই তদন্ত নিয়ে কড়া অবস্থান ডিভিশন বেঞ্চের

ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েও লাভ হল না রাজ্যের। অন্তর্বতী স্থগিতাদেশ দিল না হাইকোর্ট। ১৩ এপ্রিল ইডি-র তরফ থেকে যে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয় আদালতকে সেই রিপোর্টকেই মান্যতা দিল আদালত। ফলে পুর নিয়োগ তদন্তে বহাল রইল সিবিআই তদন্তের-ই নির্দেশ। পাশাপাশি এদিন অয়ন শীল জিজ্ঞাসাবাদ সংক্রান্ত নথি ও তথ্যকে মান্যতা দেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর ডিভিশন বেঞ্চ।
প্রসঙ্গত, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে কুন্তল ঘোষ, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সূত্র ধরেই সামনে আসে অয়ন শীলের নাম। তার বাড়ি ও অফিসে অভিযান চালিয়ে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের একাধিক নথির সাথেই উদ্ধার হয় রাজ্যের একাধিক পুরসভা নিয়োগ সংক্রান্ত নথি। উদ্ধার হয় পুর নিয়োগের ওএমআর শিট।
এদিকে ইডির জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে রাজ্যের ৬০টির বেশি পুরসভার একাধিক পদে নিয়োগের বরাত পেয়েছিল অয়ন শীলের সংস্থা এবিএস ইনফোজোন প্রাইভেট লিমিটেড। আর তাতেই অযোগ্যদের মধ্যে টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রির তথ্য উঠে আসে। এরই সূত্র ধরে পরবর্তী কালে ইডি-র তরফ থেকে দাবি করা হয়, পুরসভা নিয়োগেও দুর্নীতি হয়েছে। কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। বিষয়টি কলকাতা হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয় ইডির তরফে। এরপরই কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেয় পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই তদন্ত করবে।
এরপরই এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে যায় রাজ্য। যা পরে ফিরে আসে কলকাতা হাইকোর্টে। যেখানে রাজ্যের আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ের বিরোধিতা করে ডিভিশন ,বেঞ্চে যায় রাজ্য।
যদিও সোমবার রজ্যের তরফে সওয়াল করার সময় জানানো হয়, ‘পুরনিয়োগে ভিত্তিহীন অভিযোগ আনা হয়েছে। রাজ্যকে তদন্তের সুযোগ থেকে যেন বঞ্চিত না করা হয়।’ সব শুনে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর অত্যন্ত কড়া ভাষায় জানান, ‘দুর্নীতি কোনও ভাবেই বরদাস্ত নয়। দুর্নীতির তদন্ত বন্ধ হবে না।’ এদিকে আদালত সূত্রে খবর, আগামী ৬ জুন মামলার পরবর্তী শুনানি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × four =