বুধবারের মিছিলের রুট বদলে দিল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ

স্কুল সার্ভিস কমিশনের গ্রুপ-ডি চাকরিপ্রার্থীদের বুধবারের মিছিলের রুট এবং সময় বদলে দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। প্রসঙ্গত বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ ছিল, সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে মিছিল শেষ করতে হবে। হরিশ মুখার্জি রোড দিয়ে মিছিল যেতে পারবে। রাজ্য সরকার হরিশ মুখার্জি রোডে মিছিল যাওয়া নিয়ে আপত্তি জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে যায়। এরপর মঙ্গলবার বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, সন্ধ্যায় নয়, বেলা ১২টার পর থেকে বিকেল সাড়ে ৪টের মধ্যে মিছিল শেষ করতে হবে। হাজরা ও হরিশ মুখার্জি রোড বাদ দিয়ে মিছিল যেতে পারবে আশুতোষ মুখার্জি রোড হয়ে। কালীঘাট থানার আগে পর্যন্ত মিছিল যাবে। এছাড়াও মিছিল করতে হবে এক লাইনে।
এরই প্রত্যুত্তরে মিছিলকারীদের আইনজীবী কৌস্তভ বাগচি জানান, ‘এটা হ্যারিকেন মিছিল। এক্সাইড মোড় থেকে হাজরা হয়ে কালীঘাট দমকল কেন্দ্রের সামনে মিছিল শেষ করতে চাই। যদি অফিস টাইমে সমস্যা হয়, তাহলে হরিশ মুখার্জি রোডে শনিবারও মিছিল হতে পারে। এটা কোনও রাজনৈতিক দলের মিছিল নয়, চাকরিপ্রার্থীদের মিছিল।‘
এদিকে গ্রুপ ডি-র চাকরিপ্রার্থীদের হ্যারিকেন মিছিলের জন্য আদালতের দ্বারস্থ হন। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা মিছিলের সময় এবং রুট বেঁধে দিয়েছিলেন সোমবার। তার বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য সরকার। তাদের বক্তব্য, হরিশ মুখার্জি রোড দিয়ে যেন আদালত মিছিল যেতে না দেয়। মঙ্গলবার এই মর্মে আদালতে আবেদন করে রাজ্য। মিছিলকারীদের আইনজীবী কৌস্তভের দাবি ছিল, বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় ওই আবেদনের শুনানি হোক। বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ মঙ্গলবার বিকেলেই শুনানির সময় নির্ধারণ করে। এতেই চটে যান আইনজীবী কৌস্তভ বাগচি। তাঁর অভিযোগ, বেঞ্চ ব্যক্তিগত স্বার্থে এই সময় ঠিক করেছে। তিনি হইচই জুড়ে দেওয়ায় হতবাক হয়ে যান এজলাসে উপস্থিত আইনজীবীরা। কয়েকজন আইনজীবী কৌস্তভকে থামান। এদিকে বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় কৌস্তভকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, আদালত চাইলে বার কাউন্সিলের মাধ্যমে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতেই পারে। বিচারপতির সঙ্গে বা আদালতের সঙ্গে কী ব্যবহার করা উচিত, তা আইনজীবীর জানা দরকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four − four =