রাজু ঝা খুনের মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ খারিজ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে

রাজু ঝা খুনের মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ খারিজ করে দিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। শুধু সিবিআই তদন্তই খারিজ করা নয়, কেন সিঙ্গেল বেঞ্চ সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল তা আরও ব্যাখ্যা করতে হবে বলে জানানো হয় ডিভিশন বেঞ্চের তরফ থেকে। এরই পাশাপাশি প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এদিন নির্দেশে এও জানায়, সিবিআইকে ৭ জুলাই এর মধ্যে সিঙ্গেল বেঞ্চে রিপোর্ট দিতে হবে তাদের কাছে রাজু ঝা হত্যাকাণ্ডে যা তথ্য আছে সেই বিষয়ে। আগামী ১০ জুলাই সিঙ্গেল বেঞ্চে ফের শুনানি। তবে তদন্ত এখন সিআইডি করবে কিনা তা এদিন স্পষ্ট করা হয়নি নির্দেশে।
প্রসঙ্গত, রাজু ঝা খুনের মামলায় তদন্ত চালাচ্ছিল রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা দপ্তর সিআইডি। কিন্তু যেহেতু এই মামলার সঙ্গে কয়লা কেলেঙ্কারির বিষয়টি যুক্ত তাই এর তদন্তও সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেন হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। কিন্তু, প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, কেন এই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হল তার পর্যাপ্ত ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।
প্রসঙ্গত, সপ্তাহ খানেক আগেই রাজু ঝা খুনের মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেন হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। সঙ্গে ব্যবসায়ী রাজু ঝা খুনের সঙ্গে কয়লা কেলেঙ্কারি যুক্ত রয়েছে বলে পর্যবেক্ষণে জানায় আদালত। যেহেতু রাজ্যে কয়লা কেলেঙ্কারির তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই সেই কারণেই এই মামলাও সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, গত ১ এপ্রিল শক্তিগড়ে প্রকাশ্য রাস্তায় গুলি করে খুন করা হয় কয়লা ব্যবসায়ী রাজু ঝাকে। ঘটনার পরেই বর্ধমানের পুলিশ সুপার কামনাশিস সেনের নেতৃত্বে মোট ১২ জনের একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়। তদন্তের মাঝেই দুর্গাপুরের ব্যবসায়ীর এক কর্মী অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেপ্তারও করা হয়। এরপর বিহারের রাঁচি থেকে ইন্দ্রজিৎ গিরি এবং লালবাবু নামে আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তবে এই তদন্তের অগ্রগতি আরও দ্রুত করতে নির্দেশ দেওয়া হয় আদালতের তরফে। পাশাপাশি নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, আদালতে চার মাসের মধ্যে এই খুনের তদন্তের রিপোর্ট জমা দিতে। সঙ্গে আদালত এও জানায়,রাজু ঝা খুনের সময় গাড়িতে থাকা আরও এক ব্যক্তি আবদুল লতিফ কয়লা পাচারে সঙ্গে অভিযুক্ত ছিল। সিবিআইয়ের চার্জশিটেও নাম রয়েছে ওই ব্যক্তির। এই খুন ও কয়লা পাচার একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বলে সিবিআইয়ের হাতে তদন্ত ভার তুলে দেওয়া হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one + 15 =