বরখাস্ত শিক্ষকদের কোনও আবেদনই শুনতে রাজি নয় কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতীম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। বুধবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে কোনও হস্তক্ষেপই করল না ডিভিশন বেঞ্চ। একইসঙ্গে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার বরখাস্ত শিক্ষকদের স্পষ্ট জানিয়ে দেন,’ কোনও অন্তর্বতী স্থগিতাদেশ নয় সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে। বিচারপতি এর দায়িত্ব দিয়েছে কমিশনকেই। আর এই প্রসঙ্গেই বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, ‘কমিশনই সর্বশেষ সিদ্ধান্ত নেবে চাকরি থাকবে কিনা। ন্যাচারাল জাস্টিস কোনও স্ট্রেট জ্যাকেট হতে পারে না। ওএমআর শিট বিকৃতি হয়নি বা এটা তাদের নয় বলে কোন মামলাকারী বলেননি।‘ এরই রেশ ধরে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এও জানান,‘প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব আইনে চলার ক্ষমতা আছে। সেক্ষেত্রে কমিশন মনে করলে চাকরি থাকবে না।’ ফলে স্বাভাবিকভাবেই চাকরিহারাদের অস্বস্তি বজায় থাকল ডিভিশন বেঞ্চেও।
উল্লেখ্য, হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি গেছে নবম-দশম শ্রেণির ৮০৫ জন অযোগ্য বলে চিহ্নিতশিক্ষক ও ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর। দুই ক্ষেত্রেই চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের হয়। নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে যান ৮০৫ জন শিক্ষক। কিন্তু এদিনের শুনানিতে বিচারপতির পর্যবেক্ষণে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক উঠে আসে। প্রথমত,ওএমআর শিট বিকৃতিতে অভিযুক্ত একজনও মামলাকারী দাবি করেননি, যে ওএমআর শিট বিকৃতি হয়নি।দ্বিতীয় পর্যবেক্ষণ হল, যে ওএমআর শিট প্রকাশিত করা হয়েছে, সেটা যে তাঁদের নয়, তাও দাবি করা হয়নি বরখাস্ত শিক্ষক ও গ্রুপ ডি কর্মীদের তরফে।এর পাশাপাশি এটাই সত্য যে, নিয়োগকারী সংস্থা হিসাবে কমিশনেরও বেশ কিছু আইন রয়েছে।তার ভিত্তিতে তাঁরা এই শিক্ষক ও কর্মীদের ক্ষেত্রে বরখাস্ত সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে।এদিন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার সেটিই স্পষ্ট করে দেন।