পর্যটন ক্ষেত্রে আকর্ষণ বাড়াতে মালদায় হোমস্টে তৈরি করার উদ্যোগ নিল জেলা প্রশাসন

মালদায় পর্যটন ক্ষেত্রে আকর্ষণ বাড়াতে হোমস্টে তৈরি করার উদ্যোগ নিল জেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যে রাজ্য সরকারের পর্যটন দপ্তর থেকে মালদায় হোমস্টে করার ব্যাপারে সবুজ সংকেত মিলেছে। এতদিন পাহাড় বা জঙ্গলে হোমস্টের আকর্ষণ বেড়েছে পর্যটকদের মধ্যে। কিন্তু এবারে সমতলভূমি মালদাতেও হোমস্টে করে পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতে চাইছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যে হোমস্টে করার জন্য মালদার ১০০ জন বাসিন্দা জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন পত্র জমা দিয়েছেন। সেই অনুমতি পেলে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে দেড় লক্ষ টাকা করে আর্থিক সহযোগিতা পাওয়া যাবে বলেও জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।
কি এই হোমস্টে! বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলি পরিদর্শনের ক্ষেত্রে পর্যটকেরা মূলত হোটেল বা লজে ভাড়া নিয়ে থাকেন। কিন্তু অনেক বাড়িতে ছোটখাটো পর্যটক পরিবারগুলিকে থাকার জন্য এবং খাওয়ার জন্য ব্যবস্থা করা হয়। বাড়ির মালিকরা নির্ধারিত মূল্যের বিনিময়ে পর্যটকদের নিজেদের বাড়িতেই থাকার সুব্যবস্থা করে থাকেন এবং আহারেরও ব্যবস্থা করে থাকেন। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদায় ইতিমধ্যে হোমস্টে গড়তে চেয়ে প্রায় ১০০ জনের আবেদন জমা করেছে। সেই সব আবেদনগুলি যাচাই করা দেখা হচ্ছে। যে সমস্ত উদ্যোগীরা হোমস্টে করতে চেয়ে আবেদন করেছেন তাদের সরকারের তরফ থেকে আর্থিক অনুদানও দেওয়া হবে। তবে গাইডলাইন অনুযায়ী হোমস্টে হবে যেখানে পর্যটকদের জন্য পৃথক অত্যন্ত ১২০ বর্গ ফিটের ঘড় এবং সঙ্গে লাগুয়া শৌচাগার থাকতে হবে।
উল্লেখ্য, দার্জিলিং ,কার্শিয়াং, কালিম্পং, জলদাপাড়ার মতো পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে ইতিমধ্যে হোমস্টে খুব জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ঠিক তেমনি মালদা জেলার ইতিহাস সমৃদ্ধ গৌড়, আদিনা পান্ডুয়া, জগজীবনপুর পর্যটন কেন্দ্রে আর ও বেশি করে পর্যটকদের পরিষেবা দেওয়ার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন হোমস্টে গড়ার উদ্যোগ নিয়েছে। হোমস্টে করার সঙ্গে সঙ্গে জেলাতে কর্মসংস্থান বাড়বে বলেও মনে করা হচ্ছে। জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া জানিয়েছেন, হোমস্টে তৈরি হয়ে গেলে সেই সংক্রান্ত তথ্য রাজ্য পর্যটন দপ্তরের ওয়েবসাইটে আপলোড করা থাকবে । এবং সেখানেই অনলাইন বুকিং করার ব্যবস্থা থাকবে। অনলাইন বুকিং করেই পর্যটকরা মালদায় হোমস্টে গুলিতে থাকতে পারবেন। ইতিমধ্যে ১০০ হোমস্টে তৈরির ব্যাপারে প্রস্তাব পাঠানো হবে রাজ্য পর্যটন দপ্তরকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × three =