নিজস্ব প্রতিবেদন, সিউড়ি: গত কয়েক মাস ধরেই নেট মাধ্যমে ‘হাওয়া’ সিনেমা ঘিরে বিতর্কের ঝড় উঠেছিল, আর এই ঝড়ের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল একটি জনপ্রিয় গান ‘আটটা বাজে দেরি করিস না..’
এই গান ঘিরেই বিতর্ক তৈরি হওয়ার পর অবশেষে মধুরেণ সমাপয়েৎ। এই গানটির স্রষ্টা বীরভূমের লালকুঠি পাড়ার বাসিন্দা মনিরুদ্দিন আহমেদ। বাংলাদেশে সমুদ্র আর জেলেদের গল্প নিয়ে জনপ্রিয় সিনেমা ‘হাওয়া’য় ব্যবহৃত হয়েছে মনিরুদ্দিন সাহেবের গানটি। অথচ সেখানে গীতিকার বা সুরকার হিসেবে তাঁর নাম উল্লেখ না হওয়ায় বিতর্কের সূত্রপাত ঘটেছিল। গীতিকার সুরকার মনিরুদ্দিন আহমেদ আক্ষেপের সঙ্গে বলেন, ‘১৯৮৬ সালে এই গানটি রচনা করেছিলাম, তখন সিউড়ির টিন বাজারে মাছের দাম ছিল ৩০ টাকা। আর সুর করার সময় ছাদ পিটুনিদের গান মাথায় রেখে ছিলাম।’
তাঁর প্রথমে আক্ষেপ থাকলেও এখন তিনি খুশি। কারণ বাংলাদেশ থেকে পরিচালক তাঁকে ফোন করেছিলেন ও পাঠিয়েছেন বাংলাদেশি এক লক্ষ টাকা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৭৫ হাজার টাকা। অবশ্য হাতে তিনি স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৫০০ টাকা টাকা। স্বীকৃতি মেলায় খুশি পরিবার ও খুশি বীরভূম জেলা নৃত্য-গান মেলা উৎসব কমিটিও। খুশি গণনাট্য সংঘও।
শিল্পীকে যথাযথ মর্যাদা দেওয়ায় ‘হাওয়া’ সিনেমার পরিচালক মেজবাউর রহমান সুমনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বীরভূম জেলা গান মেলায় আসার অনুরোধ জানিয়েছেন উৎসব কমিটির সম্পাদক মৃণালজিৎ গোস্বামী। ভিসার যদি কোনও সমস্যা না থাকে, তবে আগামী জানুয়ারি মাসে পরিচালক তাঁর টিম নিয়ে সিউড়ি শহরে আসতে পারেন বলেও পরিচালক জানিয়েছেন। শুধু তাই নয়, সুরকার ও গীতিকারের কথা জানতে পেরে ‘হাওয়া’ সিনেমায় তাঁর নাম অন্তর্ভুক্তি হওয়ায় খুশি সুরকার ও গীতিকার মনিরুদ্দিন আহমেদ ।