হাওড়া : অনুব্রতের ছায়া এবার হাওড়ার ডোমজুড় বিধানসভায়। সামনের বছর রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। আর তার আগে কিভাবে পঞ্চায়েত নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে হবে তার নিদান দিলেন ডোমজুড় বিধানসভার বিধায়ক ও হাওড়া সদর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কল্যাণ ঘোষ। তিনি খোলা মঞ্চ থেকে ঘোষণা করলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে কর্মীদের করণীয় কাজ। পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোন বিরোধী রাজনৈতিক দল যাতে প্রার্থী দিতে না পারে সেই ব্যবস্থা দলীয় কর্মীদের করতে বললেন ডোমজুড়ে বিধায়ক তথা হাওড়া সদর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কল্যান ঘোষ।
গত সপ্তাহে জগদীশপুর অঞ্চলে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন তিনি। তার এই বক্তব্য নিয়ে ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে জেলা রাজনৈতিক মহলে। তৃণমূল নেতার এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপির রাজ্য নেতা উমেশ রাই বলেন, এটাই শাসকদল ২০১৮ সালে করেছিল। বিরোধী দলের লোকদের মনোনয়ন না দিতে দেওয়া ও মনোনয়ন জমা পড়লে সেই প্রার্থী যাতে ভোট না পায় তা সুনিশ্চিত করা। যারা হুমকির মুখে পড়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন নি তাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। সবচেয়ে বড়ো ঘটনা ঘটেছে ভোট গণনা কেন্দ্রে বসে বুথে ভোট কম হলে ওই কেন্দ্রে বসেই ভোট দেওয়ার কাজও করেছেন। সেই একই পথে হাঁটছেন তারা। তবে, এবার মানুষমেরে রক্তের হোলি খেলা বন্ধ করার জন্য রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে জানাবেন তিনি। এই হিংসা বন্ধ করার জন্য বিজেপি যতদূর যাওয়ার ততদূর যাবে।
যদিও শাসকদলের ডোমজুড় কেন্দ্রের বিধায়ক ও সদর তৃণমূলের সভাপতি কল্যাণ ঘোষ বলেন, তিনি ওইভাবে কথাটি বলেননি। এবং ওই কথার ভুল ব্যাখ্যা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।