তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়ে গেল। আহতের সংখ্যা ৩৫ হাজারেরও বেশি। ভূমিকম্পের ধ্বংসলীলা থেকে বেঁচে গিয়েও নতুন উপদ্রবের মুখে সে দেশে মানুষ। কোথাও তাপমাত্রা নেমে গিয়েছে ৩ ডিগ্রিতে, কোথাও হিমাঙ্কের নীচে পৌঁছেছে তাপমাত্রা। তার সঙ্গে চলছে তুষারপাত আর বৃষ্টি। ফলে ভূমিকম্পের হাত থেকে বেঁচে গিয়েও স্বস্তিতে নেই তুরস্কের মানুষ। হাড় জমানো ঠান্ডায় মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকুও জুটছে না। ফলে বাধ্য হয়েই খোলা আকাশের নীচে কাটাতে হচ্ছে শিশু, বৃদ্ধ সকলকে।তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, ভূমিকম্পে বেঁচে ফেরা নাগরিকদের জন্য অস্থায়ী শিবিরের আয়োজন করা হবে।
অন্যদিকে তুরস্কের ভয়াবহ ভুমিকম্পের (Turkey Earthquake) জেরে আটকে পড়েছেন অন্তত ১০ ভারতীয়। সেই সঙ্গে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না এক ভারতীয় ব্যবসায়ীর। ওই ব্যক্তির পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। সেই সঙ্গে তুরস্কে কন্ট্রোল রুমও খুলেছে ভারত। ‘অপারেশন দোস্ত’ (Operation Dost)-এর মাধ্যমের তুরস্কের উদ্ধারকাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছে ভারত। প্রসঙ্গত, বুধবারই ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত অঞ্চল ঘুরে দেখেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরডোগান।
প্রচণ্ড ঠান্ডায় হাড় জমানো ঠান্ডা আর খিদের জ্বালায় অনেকেই মৃত্যুমুখে যেতে বসছেন। স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞরা বলছেন, চরম ঠান্ডায় খোলা আকাশের নীচে যাঁরা দিন কাটাচ্ছেন, হাইপোথার্মিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ছে। এতে শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত কমে যাবে। এমনকী মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।