নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঁকুড়া: কারণে কয়েকদিন আগেই পরিবারের ছোট ছেলে অসুস্থ হয়ে মারা যায়। এবার মৃত্যু হল বড় ছেলেরও। হাসপাতালে এখনও চিকিৎসাধীন দম্পতি। খাবারে বিষক্রিয়া বলে দাবি। বাঁকুড়ার কোতুলপুর ব্লকের ফুটিডাঙা গ্রামে সোরেন পরিবারে একের পর এক মৃত্যুর পর ঘটনার পিছনে ষড়যন্ত্রের সন্দেহ তীব্র হচ্ছে পরিবারের।
বাঁকুড়ার কোতুলপুর থানার ফুটিডাঙা গ্রামে গত বুধবার সকাল থেকে হঠাৎই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন বাদল সোরেন, তাঁর স্ত্রী চম্পা সোরেন ও তাঁদের দুই ছেলে বিধান ও বীরেন্দ্রনাথ। তড়িঘড়ি তাঁদের স্থানীয় গোগড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শুক্রবার চার জনেরই শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে, তাঁদের বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পথেই মারা যায় ছোট ছেলে বছর বারোর বিধান। এবার বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যু হল বড় ছেলে বছর সতেরোর বীরেন্দ্রনাথেরও। হাসপাতালের সিসিইউতে এখনও মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন স্ত্রী চম্পা সোরেন। প্রাথমিক ভাবে সোরেন পরিবারের ধারণা ছিল, মঙ্গলবার দুপুরের রান্না করা খাবারে কোনওকারণে বিষক্রিয়া ঘটে। সেই খাবার মঙ্গলবার রাতে পরিবারের সকলে খাওয়ার ফলেই এই ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু একের পর এক মৃত্যুতে এবার সোরেন পরিবারের সন্দেহ, তাঁদের সকলকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে ষড়যন্ত্র করে কেউ বা কারা খাবারে বিষ মিশিয়ে দিয়ে থাকতে পারে। গোটা ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়েছেন সোরেন পরিবার ও তাঁদের আত্মীয়স্বজনরা।