কলকাতা: পুলিশের মারে যুবকের মৃত্যু?
দক্ষিণ কলকাতার গল্ফগ্রিন থানা এলাকার আজাদগড়ের বাসিন্দার মৃত্যুর কারণ ঘিরে ধোঁয়াশা। পরিবারের অভিযোগ, তাঁকে পুলিশ থানায় নিয়ে গিয়ে মারধর করেছে। তারপরই মৃত্যু হয়েছে। অভিযোগের আঙুল গল্ফগ্রিন থানার দিকে। ঘটনার জেরে গল্ফগ্রিন থানার তিন পুলিশকর্মীকে ক্লোজ করা হয়েছে। এক পুলিশ আধিকারিক, কনস্টেবল, সিভিক ভলান্টিয়ারকে ক্লোজ করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
যদিও পুলিশের দাবি, যুবক মাদকাসক্ত ছিলেন। মারধরের জন্য তাঁর মৃত্যু হয়নি। পুলিশ সূত্রে খবর, গত রবিবার রাতে দীপঙ্কর সাহা ও তাঁর চার বন্ধু মাদক নিচ্ছিলেন। খবর পেয়ে পুলিশ তাঁদের গল্ফগ্রিন থানায় নিয়ে আসে। থানার সিসিটিভির ফুটেজে দেখা গিয়েছে, রাত ১০টা ২৬ মিনিটে তাঁদের থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। থানার সেরেস্তায় তাঁদের বসিয়ে রাখা হয়েছিল। আধ ঘণ্টা পর তাঁদের ছেড়েও দেওয়া হয়। এরপর দীপঙ্কর অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
তাঁর দেহে কিছু ক্ষতচিহ্ন মিলেছে।সেই ক্ষতগুলি কত পুরনো, তা চিকিৎসকরা খতিয়ে দেখেন। মৃত ব্যক্তির পরিবারের দাবি, তাঁর দাদা এলাকার বিজেপি নেতা। দাদা গত পুরভোটের প্রার্থীও হয়েছিলেন। প্রশ্ন উঠেছে, এর পিছনে কোনও রাজনৈতিক যোগসূত্র আছে? তবে পুলিশ তা মানতে চায়নি।
ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্ট পাওয়ার পরই মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে পুলিশ নিশ্চিত হবে। ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়ার ভিডিওগ্রাফিও করা হয়েছে। এই ব্যাপারে পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। পুলিশের দাবি, পুরো ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।