হুগলি: সবচেয়ে দ্রুতগামী ট্রেন বন্দে ভারত বাংলায় চালু হওয়ায় খুশি বাংলার মানুষ থেকে শুরু করে দেশবাসী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভার্চুয়ালিভাবে উদ্বোধনের পরেই হাওড়া থেকে সেই ট্রেন যাত্রা শুরু করেছে। বন্দে ভারতের যাত্রাকে স্মরণীয় করতে আস্ত ট্রেনের আদলে সন্দেশের ট্রেন তৈরি করে ফেললেন হুগলির রিষড়ার একটি বিশ্বস্ত মিষ্টান্ন ভাণ্ডার। রিষড়ার এই মিষ্টান্ন প্রতিষ্ঠানটি বন্দে ভারতের আদলে তৈরি করেছে নলের গুড়ের সন্দেশ দিয়ে ট্রেন তৈরি করে। অবিকল বন্দে ভারত ট্রেনের আকারে এই মিষ্টি। ছয় কিলো সন্দেশ দিয়ে তৈরি এই সন্দেশের ট্রেনটি। যা দেখতে যেমন অসাধারণ তেমনি খেতেও সুস্বাদু। শীতকালে নলেন গুড় দিয়ে তৈরি করে এই মিষ্টান্ন প্রতিষ্ঠান। হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি ট্রেনটি মোট আট ঘণ্টায় পৌঁছবে। ভারতীয় রেল যেমন যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দ্রুততম রেল তৈরি করেছে। তেমনি এই মিষ্টান্ন প্রতিষ্ঠান তার মিষ্টিতে নতুনত্ব আনে। স্থানীয় মানুষও সন্দেশের তৈরি বন্দে ভারত নামক দ্রুতগামী ট্রেন তৈরি হওয়ায় খুশি। তাই সকাল থেকেই ক্রেতারা মিষ্টির দোকানের সামনে আস্ত একটা সন্দেশের ট্রেন কিনতে ভিড় জমাচ্ছেন। বন্দে ভারত চালু হওয়ার পর থেকেই মিষ্টির দোকানেও আস্ত ট্রেন বিক্রি চালু হয়ে যায়। কচিকাঁচা থেকে শুরু করে বাড়ির বড়রাও খুশি এই বন্দে ভারত ট্রেন দেখে। এই বিষয়ে রিষড়ার ওই মিষ্টান্ন প্রতিষ্ঠানের মালিক অমিতাভ মোদক নাকি জানান, এর আগেও এই রকমভাবে সন্দেশের ট্রেন তৈরি কর হয়েছিল। তবে দেশে দ্রুত গতির ট্রেন এনে মানুষকে উন্নত পরিষেবা দিয়েছে ভারত সরকার। তাই সে জায়গা থেকে রেলের প্রতি শ্রদ্ধা জানতেই এই চিন্তাভাবনা বলে জানান তিনি। অপরদিকে মিষ্টি দোকানে আসা একজন ক্রেতা জানান, বন্দে ভারতের আদলে সন্দেশের আস্ত একটা ট্রেন কিনে বাড়ি ফিরছি। এই কথা ভেবেই ভালো লাগছে। ভারতের গণ পরিবহণে একটা যুগান্তর এনেছে ভারতের রেলমন্ত্রক। এই জন্য ভারত সরকারকে ধন্যবাদ। এই বিশ্বস্ত মিষ্টান্ন প্রতিষ্ঠানকে ধন্যবাদ এই ট্রেনকে স্মরণীয় করতে একটা সন্দেশের ট্রেন তৈরির জন্য। সবমিলিয়ে রিষড়ার ওই মিষ্টান্ন প্রতিষ্ঠানে সন্দেশের তৈরি বন্দে ভারতের চাহিদা বেশ তুঙ্গে।