মদন তামাং হত্যা মামলায় নয়া মোড়। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা নেতা বিমল গুরুংকে মদন তামাং খুনের মামলায় অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ফলে ফের বিপাকে বিমল গুরুং। বৃহস্পতিবার এমনই নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শুভেন্দু সামন্ত।২০১৭ সালে ওই খুনের মামলায় এর বিমল গুরুং-এর নাম বাদ দেওয়ার আবেদন মঞ্জুর করেছিল নিম্ন আদালত। এদিন হাইকোর্টে সেই নির্দেশে তা খারিজ হয়ে যায়।
এদিকে আদালত সূত্রে খবর, নগর ও দায়রা আদালতের নির্দেশে বিমল গুরুং-এর নাম বাদ যাওয়ার ঘটনাকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় সিবিআই এবং মদন তামাং-এর স্ত্রী ভারতী তামাং। দীর্ঘদিন ধরে চলছে এই আইনি লড়াই। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে শুনানির পর বিচারপতি শুভেন্দু সামন্ত নির্দেশ দেন, গুরুংয়ের বিরুদ্ধেও চার্জ গঠনের আইনি প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। তাঁর আবেদন মঞ্জুর করে এই মামলায় ফের যোগ করা হল গুরুংয়ের নাম।২০১৭ থেকে ২০২৪- সাত বছর ধরে আইনি জটিলতার পর কলকাতা হাইকোর্ট বিমলের নাম অন্তর্ভুক্ত করে চার্জ গঠনের নির্দেশ দিল।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের অগাস্ট মাসে কলকাতার বিশেষ সিবিআই আদালত বিমলের স্ত্রী আশা এবং গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা সহ ৪৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের নির্দেশ দিলেও বিমলকে এই মামলা থেকে খালাস করে দেয়। ২০১৩ সালে ভারতী তামাং-এর আবেদনে এই মামলার শুনানি দার্জিলিং থেকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করার নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত।
এই প্রসঙ্গে বলে রাখা শ্রেয়, ২০১০ সালের ২১ মে খুন হন মদন তামাং। দার্জিলিং-এর ক্লাব সাইট রোডে ওই ঘটনা ঘটে। প্রথমে তদন্তে নামে সিআইডি। পরে শীর্ষ আদালতের নির্দেশে ঘটনার তদন্ত শুরু করে সিবিআই।