একের পর এক ঘটনায় বেশ অস্বস্তিতে কলকাতা পুলিশ। খুব স্পষ্টভাবে ভাল, কলকাতা পুলিশের একাংশের কার্যকলাপে মুখ পুড়ছে কলকাতা পুলিশের। আর তাতে কলকাতা পুলিশের ওপর ভরসা কমছে আম জনতার। এক মামলার প্রেক্ষিতে বুধবার ঠিক এমনই এক ঘটনার সাক্ষী থাকল কলকাতাবাসী। বেআইনি নির্মাণের অভিযোগে মামলা করলেন একজন আর পুলিশের হাতে গ্রেফতার হল মামলাকারীর পরিবারের সদস্যরাই। আর তাতে আদালতের প্রশ্নের মুখে কলকাতা পুলিশ। ঘটনা এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে কলকাতা পুলিশের হাত থেকে সেই মামলা নিয়ে তা তুলে দেওয়া হয় সিআইডি-র হাতে।
প্রসঙ্গত, বেআইনি নির্মাণের প্রতিবাদ জানিয়ে মামলা করেছিলেন এক ব্যক্তি। আর মামলা করতেই বাড়ে অত্যাচার। মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। আবার পাল্টা অভিযোগও ওঠে মামলকারীর বিরুদ্ধে। কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে মামলাকারীর অভিযোগ, সেই মামলা নাকি তুলে নিতে চাপ দিচ্ছে খোদ পুলিশ। এদিকে কলকাতা হাইকোর্টের তরফ থেকে এ প্রশ্নও করা হয়েছে, মামলাকারীর পরিবারের সদস্যদের কেন গ্রেফতার করা হল তা নিয়েও।
কোনও নোটিস ছাড়াই কীভাবে মামলাকারীর পরিবারের সদস্যদের পুলিশ গ্রেফতার করল, সেই প্রশ্ন বুধবার তোলেন বিচারপতি। বুধবারের শুনানিতে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত প্রশ্ন করেন, ‘অভিযোগ এবং পাল্টা অভিযোগ আছে, তাহলে পুলিশ কেন শুধু মামলাকারীর পরিবারের সদস্যদের গ্রেফতার করল? পুলিশ কি চাইছে মামলা তুলে নিতে হবে? দুপক্ষের তরফে মামলা হলেও গ্রেফতার শুধু এক পক্ষ কেন?’ এখানেই শেষ নয়, বিচারপতি আরও বলেন, পুলিশ পদক্ষেপ করলে আদালতকে হস্তক্ষেপ করতে হত না। কিন্তু এখানে পুলিশ সরাসরি একপক্ষের হয়ে কাজ করছে। এর আগে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় আরও একটি মামলার তদন্তভার সিআইডি-কে দিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। এক আইনজীবীকে মাথায় রড দিয়ে মারার অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কেন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে লঘু ধারায় মামলা হল, কেনই বা ছাড়া পেয়ে গেলেন অভিযুক্ত, সেই প্রশ্ন তুলে মামলা করেছিলেন এক আইনজীবী। সেই মামলাতেও সিআইডি-র ওপরেই ভরসা রেখেছে আদালত।