কলকাতা: তদন্তে সহযোগিতা করছেন নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত চার জন প্রাথমিক শিক্ষক। আলিপুর আদালতে এমনটাই জানালেন সিবিআই-এর আইনজীবী। তার জেরেই জামিন মঞ্জুর হল চার শিক্ষকের।
চার জন প্রাথমিক শিক্ষকই মুর্শিদাবাদ জেলার। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাঁরা ঘুষ দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁদের সাক্ষী হিসাবে দেখিয়েছিল সিবিআই। তাতে অসন্তুষ্ট আদালত বলেছিল, সাক্ষী কেন! ওঁরাও সমান অপরাধে অভিযুক্ত। সুতরাং তাঁদের অভিযুক্ত হিসাবে দেখাতে হবে। এ কথা বলে তাঁদের জেল হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারক।১২ দিন জেলে থাকার পর অবশেষে শনিবার জামিন পেলেন তাঁরা।
এই চার জন প্রাথমিক শিক্ষকই মুর্শিদাবাদ জেলার। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাঁরা ঘুষ দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁদের সাক্ষী হিসাবে দেখিয়েছিল সিবিআই। তাতে অসন্তুষ্ট আদালত বলেছিল, সাক্ষী কেন! ওঁরাও সমান অপরাধে অভিযুক্ত। সুতরাং তাঁদের অভিযুক্ত হিসাবে দেখাতে হবে। এ কথা বলে তাঁদের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারক।
গত ৭ অগস্ট নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতে ওই চার শিক্ষককে সাক্ষী হিসেবে পেশ করেছিল সিবিআই। কিন্তু বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায় সিবিআইকে প্রশ্ন করেন, এদের সাক্ষী হিসেবে কেন হাজির করেছেন, এরা তো অভিযুক্ত।
২০১৪-র টেট নিয়ে মূলত নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সেই মামলায় ওই চার জন শিক্ষককে আদালতের নির্দেশে গ্রেফতার করা হয়। এদিন আদালতে সিবিআই জানায়, ধৃত শিক্ষকরা তদন্তে সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছেন। তারপরই তাঁদের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে দেন বিচারক।
এই গ্রেফতারির পর আরও কয়েকজন শিক্ষককে নিজাম প্যালেসে ডেকে পাঠিয়েছিল সিবিআই। তাঁদের থেকে বেশকিছু নথিও আনতে বলা হয়েছিল। সিবিআই দফতরে হাজিরা দেন তাঁরা। যদিও তাঁদের মধ্যে কাউকেই গ্রেফতার করেনি সিবিআই।