বকেয়া মহার্ঘ ভাতা নিয়ে কর্মচারী সংগঠনের সঙ্গে ১০ দিনের মধ্যে বৈঠকে বসতে হবে রাজ্যকে, সোমবার এমনই পরামর্শ কলকাতা হাইকোর্টের। আদালতের নির্দেশে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের পাঁচজনের প্রতিনিধি নিয়ে এই বৈঠকে বসতে রাজি বলেও জানান তাঁরা। এদিকে রাজ্যের তরফ থেকে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর নেতৃত্বে তৈরি হবে একটি কমিটি। সেই কমিটি আগামী ১০ দিনের মধ্যে সরকারি কর্মচারী সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করবে। যদিও এখনও বৈঠকের দিন ঘোষণা হয়নি।
সোমবার পর্যবেক্ষণে কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, সুপ্রিম কোর্টে মহার্ঘ ভাতা নিয়ে মামলা চলছে। তাই আপাতত যেন পেন ডাউন না করা হয়। সোমবার প্রধান বিচারপতি এমনই পরামর্শ দেন আন্দোলনকারীদের। পাশাপাশি এদিন মামলার শুনানির সময় সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষের কাছে আদালত জানতে চায়, তাঁরা এ বিষয়ে কী ভাবছেন তা নিয়েও। শান্তিপূর্ণ আন্দোলন নিয়ে আদালতের কিছু বলার নেই। তবে অনেকে যুবক এই আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত। তাঁদের কী মনোভাব তৈরি হবে, সেই নিয়ে এদিন জানতে চায় আদালত। পাশাপাশি এ প্রশ্নও করা হয়, শীর্ষ আদালত যদি এই মামলায় আবার স্থগিতাদেশ দেয় তবে কী করবেন তা নিয়েও।
প্রসঙ্গত, বারবার সুপ্রিম কোর্টে এই ডিএ সংক্রান্ত মামলা পিছিয়েই যাচ্ছে। আপাতত আগামী শুনানির দিন ঠিক হয়েছে মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে। তার আগে কলকাতা হাইকোর্টের পরামর্শ মনে মুখ্যসচিবের নেতৃত্বাধীন কমিটির সঙ্গে ডিএ আন্দোলনকারীদের বৈঠকে সুরাহা মেলে কি না, সেটাই এখন দেখার।
এদিকে, সোমবার অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার দু’টি রশিদের ছবি পোস্ট করেন কুণাল ঘোষ। যেখানে দেখা যায়, যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের নামে অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার তরফে বিল কাটা হয়েছে। একটি এক লাখ টাকার এবং অপরটি ৭৩ হাজার টাকার। এই ছবি পোস্ট করে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানতে চান, ‘এই রশিদগুলি আসল না নকল? যদি আসল হয় তাহলে যৌথ মঞ্চ দিল্লিতে কাদের আশ্রয়ে ছিল, কোথায় ছিল বুঝে নিন। যদি এই টাকা দেওয়া হয় তাহলে এত টাকা নগদে কেন? তাহলে টাকা কে বা কারা দিচ্ছে? কত টাকা উঠছে? মঞ্চের পর্দার পিছনের মুখগুলো স্পষ্ট হচ্ছে। রাম-বাম-কং।‘ সঙ্গে এও জানান, ‘যদি রশিদ ভুল হয়, মঞ্চ জানাক।’
এর প্রত্যুত্তরে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফ থেকে মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ জানান, ‘হোটেলের বদলে যদি আমরা অন্য কোনও জায়গায় পয়সা দিয়ে থাকি, তাহলে আপত্তি জানানোর কী আছে? হিন্দু মহাসভা বলেই কি আপত্তি? উনি জানেন না, আমরা নগদে কোনও টাকা দিইনি। অনলাইনে পেমেন্ট হয়েছে।’