ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন মিটলেও এখনও দফায় দফায় সংঘর্ষের অভিযোগ উঠেছে হরিশ্চন্দ্রপুরে। এবারে হরিশ্চন্দ্রপুরে গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোটে পরাজিত তৃণমূল প্রার্থীকে মারধর এবং বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল কংগ্রেস, সিপিএমের জোট প্রার্থীর বিরুদ্ধে। বিজয় মিছিলের নাম করে বুধবার রাতে তৃণমূল প্রার্থীর বাড়িতে হামলা চালিয়েছে জোট প্রার্থীর দলবল বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার কুর্সিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের হোসেনপুর এলাকায়। যদিও সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা বলে দাবি করেছেন বাম, কংগ্রেস জোট।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকের কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের হুসেনপুর ১৬ নম্বর বুথের বিজয়ী জোট প্রার্থী মানোয়ার আলম ও হেলি খাতুন পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী আরাধনা সরকারের বাড়ির পাশ দিয়ে বিজয় মিছিল নিয়ে যাচ্ছিল। সেই সময় জোটপ্রার্থীর সমর্থকরা স্থানীয় তৃণমূলের পরাজিত প্রার্থী আরাধনা সরকারের বাড়িতে ঢুকে ব্যাপক হারে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। একাধিক চেয়ার, টেবিল, বেঞ্চ ও ফ্রিজ ভেঙে দেওয়া হয়। এমনকী প্রার্থী আরাধনা সরকার ও তার স্বামী অলোক পোদ্দার সহ পরিবারের সাতজনকে ধারালো অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। আহত আলোক পোদ্দার সহ পরিবারের সাতজনের চিকিৎসা চলছে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে।
অপরদিকে জয়ী জোট প্রার্থীরা তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ একেবারে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন। জয়ী জোট প্রার্থী ও সমর্থকরা জানিয়েছেন, অলোক পোদ্দারের বাড়ির পাশ দিয়ে বিজয় মিছিল গেলেও তার বাড়িতে কেউ ঢুকে হামলা চালায়নি। অলোক পোদ্দার নিজেই ভাঙচুর চালিয়ে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলছেন। অলোক পোদ্দার নিজের হার মেনে নিতে পারছেন না বলেই এই ধরনের মিথ্যা অভিযোগ তুলে সাধারণ মানুষকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন হরিশ্চন্দ্রপুর থানার বিশাল পুলিশবাহিনী ও কেন্দ্রীয় বাহিনী। অলোক পোদ্দারের উঠোনে পড়ে থাকা ধারালো অস্ত্র ও পিস্তল উদ্ধার করে নিয়ে যায়। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।
তৃণমূলের রাজ্যের সাধারন সম্পাদক কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী বলেন, এই ধরনের ধরনের ঘটনা কখনোই বরদাস্ত করা যায় না। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার ও দাবি জানানো হয়েছে।
পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।