নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঁকুড়া: বাঁকুড়ার শুশুনিয়ার ভরতপুরের পটচিত্র শিল্পীদের জন্য তৈরি করা হয়েছে ১৫টি মডেল হাউস। এদিন আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবসে মুখ্যমন্ত্রী ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন এই মডেল হাউসিংটির। তারপর শিল্পী পরিবারদের হাতে ঘরের চাবি তুলে দেন বাঁকুড়া জেলার জেলাশাসক কে রাধিকা আইয়ার। ছাতনার বিডিও শিশুতোষ প্রামাণিকের সহযোগিতায় চিহ্নিত করা হয়েছে ভরতপুর পটচিত্র গ্রামের ১০০ বছরের পুরনো পটচিত্রশিল্পী পরিবারগুলিকে। এই ১৫টি পরিবার পেয়েছেন ১৫টি মডেল হাউস।
বাঁকুড়া জেলার জেলাশাসক জানান, প্রতিটি বাড়ি বানাতে বরাদ্দ করা হয়েছিল দু’ লাখ টাকা। তাছাড়া রয়েছে রাস্তা, আলো, সাবমারসিবল পাম্প এবং একটি পুকুর বানানোর খরচ। এছাড়াও যাঁরা যাঁরা হোমস্টে বানানোর জন্য আবেদন করেছিলেন, সেই তিন পরিবার পাবেন আরও এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা। ছাতনার বিডিও শিশুতোষ প্রামাণিক জানান যে, এই প্রজেক্টটিতে মোট খরচ হয়েছে ৬০ লাখ টাকা।
মডেল বাড়িগুলির প্রত্যেকটি দেওয়ালে আঁকা রয়েছে, দৃষ্টিনন্দন পটচিত্র। বাড়িগুলিতে রয়েছে টালির চাল এবং একটি করে প্রধান কক্ষ, সঙ্গে রান্নাঘর। শৌচাগারের জন্য কাজের পারমিশন হয়ে গিয়েছে, প্রায় দশ দিনের মধ্যে শৌচাগার তৈরি হয়ে যাবে এমনটাই জানালেন জেলাশাসক নিজেই। বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনের সক্রিয় ভূমিকায় শুশুনিয়ার পাদদেশ এক অন্য রূপ ধারণ করল। বহুদিনের প্রাচীন পটচিত্র শিল্পীরা পেলেন তাঁদের বহু প্রতীক্ষিত বাড়ি।