রাজ্যপালের উপাচার্য বাছাই ইস্যুতে মামলা শুনলেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ, রায়দান স্থগিত

অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি সংঘাতের এক বাতাবরণ তৈরি হয়েছে রাজ্যপাল ও রাজ্য তথা শিক্ষা দপ্তরের মধ্যে। কারণ, রাজ্যের পরামর্শ না মেনে রাজ্যপালের উপাচার্য নিয়োগ করা আইন সম্মত কি না, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। আর উপাচার্য নিয়োগ সংক্রান্ত এই জনস্বার্থ মামলার শুনানি হয় মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চে। তবে সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর রায়দান স্থগিত রাখে হাইকোর্ট।
প্রসঙ্গত, রাজ্যপালের উপাচার্য নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ করে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন অবসরপ্রাপ্ত এক অধ্যাপক। তাঁর বক্তব্য, রাজ্যপাল যে উপাচার্যদের নিয়োগ করেছেন সেখানে শিক্ষামন্ত্রীর পরামর্শ নেওয়া হয়নি, আইনও মানা হয়নি। নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নিয়োগের যে সময়সীমা তা অগ্রাহ্য করেই রাজ্যপাল নতুন করে নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
মামলাকারী সনৎকুমার ঘোষের আইনজীবী অভ্রতোষ মজুমদার শুনানির সময় এও উল্লেখ করেন, ‘রাজ্যের সঙ্গে পরমর্শ করার বিষয়টি আইনসভার অন্তর্ভুক্ত একটি আইন। সেই আইনকে অগ্রাহ্য করা হয়েছে। রাজ্য এই উপাচার্যদের বেতন দেয়।‘ আর এরই প্রেক্ষিতে আইনজীবী অভ্রতোষ মজুমদার এও প্রশ্ন তোলেন, এক্ষেত্রে নিয়োগ যদি বেআইনি হয়, তাহলে সরকার টাকা কীভাবে টাকা দেবেন তা নিয়েও। এদিকে রাজ্যপালের তরফে আইনজীবী জয়দীপ কর জানান, সরকার যে নামগুলো পাঠিয়েছিল তার মধ্যে দুজনের নাম গ্রহণ করেছিলেন রাজ্যপাল। বাকিগুলি কেন গ্রহণ করা হয়নি, তা জানে রাজ্য সরকার। অন্যদিকে, সঞ্চালিকা মুখোপাধ্য়ায় নামে এক উপাচার্যের আইনজীবী কল্লোল বসু জানান, ‘রাজ্য যাঁদের নাম প্রস্তাব করেছিল, তাঁদের সবার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।‘ এর পাশাপাশি এও জানান, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নির্ধারিত যোগ্যতা পূরণ হচ্ছে কি না, সেটাও বিচার্য হওয়া উচিত।
এদিকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের তরফে উল্লেখ করা হয়েছে, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য করা হয়েছে যাঁকে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো ভাইস চান্সেলর ছিলেন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে বলে জানান আইনজীবী সৌম্য মজুমদার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eleven − 6 =