এবার কেন্দ্রের সঙ্গে বিচারবিভাগের টানাপড়েন আরও বৃদ্ধি পেতে চলেছে। দেশের নির্বাচন কমিশনার বাছাই করার তিন সদস্যের প্যানেলে থাকবেন না সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। এই মর্মে বৃহস্পতিবারেই রাজ্যসভায় বিল পেশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই বিল আইনে পরিণত হলে কেন্দ্র ও বিচারবিভাগের মধ্যে যে টানাপড়েন সৃষ্টি হবে তা স্পষ্ট।
বিরোধীরা অবশ্য প্রস্তাবিত এই বিলের বিরোধিতায় সরব হয়েছে। বিরোধী দলগুলির বক্তব্য, ওই বিল আইনে পরিণত হলে নির্বাচন কমিশন ‘প্রধানমন্ত্রীর হাতের পুতুলে পরিণত হবে’। কংগ্রেস নেতা কেসি বেণুগোপাল জানিয়েছেন, তাঁরা আগাগোড়া এই বিলের বিরোধিতা করবেন।
কেন্দ্রীয় সরকারের একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবারই সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় পেশ হয়েছে ‘নির্বাচন কমিশনার বিল, ২০২৩’। সেই বিলের প্রস্তাবিত খসড়ায় বলা হয়েছে তিন সদস্যের প্যানেলে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী, লোকসভার বিরোধী দলনেতা এবং প্রধানমন্ত্রীর দ্বারা মনোনীত এক জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এই কমিটি যে নাম কিংবা নামগুলি প্রস্তাব করবে, তাঁকে বা তাঁদের নিয়োগ করবেন দেশের রাষ্ট্রপতি।
উল্লেখ্য, এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট তার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিল, নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তাই তিন সদস্যের কমিটি গঠন করতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের মার্চ মাসের রায়ের আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নেওয়া সিদ্ধান্তে অনুমোদন দিতেন রাষ্ট্রপতি।
কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের এমন পর্যবেক্ষণের পর ২০২৩ সালের মার্চ মাসে একটি রায়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, দেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্য দুই নির্বাচন কমিশনারকে তিন সদস্যের একটি কমিটি বেছে নেবে। কমিটিতে থাকবেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা, প্রধানমন্ত্রী এবং দেশের প্রধান বিচারপতি। তবে একই সঙ্গে ওই রায়ে বলা হয়েছিল, নতুন আইন প্রণয়ন না হওয়া পর্যন্ত আগের আইন বলবৎ থাকবে।