পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে মামলার সংখ্যা দেখে বিরক্তি প্রকাশ করতে দেখা গেছে হাইকোর্টের একাধিক বিচারপতিকে। কারণ, জুন থেকে জুলাই অর্থাৎ পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোট প্রক্রিয়া চলাকালীন কার্যত মামলার পাহাড় জমা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। সে সব মামলার শুনানি এখনও শেষ হয়নি। এদিকে আদালত সূত্রে খবর, এর আগে বুধবার একসঙ্গে ২৬টি জনস্বার্থ মামলা শোনেন প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম। এরপরই মামলার বহর দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। আইনজীবীদের এরপরই ভর্ৎসনার সুরে বলেন, ‘পরবর্তী পঞ্চায়েত নির্বাচন পর্যন্ত কি আমরা পঞ্চায়েত নির্বাচনের মামলা শুনব?’ একইসঙ্গে এও বলেন, ‘আইনজীবীদের মামলার যথেষ্ট প্রস্তুতি নেই। কয়েকজন সিনিয়র আইনজীবী বাদে কেউই সঠিক প্রস্তুতি নিয়ে আসছেন না। আপনারা অন্তত কিছুটা তৈরি হয়ে তারপর আসুন।’ একইসঙ্গে প্রধান বিচারপতি উল্লেখ করেন, কোনও কোনও ক্ষেত্রে কয়েকটা খববের কাগজের কাটিং এনেই মামলা করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে নির্বাচন বাতিল করুন অথবা নির্বাচন কমিশনারকে অপসারণ করার নির্দেশ দিন। এতেই বিরক্ত প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানম। এর আগেও প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, পঞ্চায়েত মামলার জন্য আদালতে অন্য মামলা শোনা হচ্ছে না, আর মানুষ ভাবছে আদালত কাজ করছে না।
এরপরই প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের তরফ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় যে, শুধুমাত্র গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের মামলাগুলোই আদালত শুনবে। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচন পর্যন্ত মামলা চলুক, আদালত চায় না। আদালত সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার ২৬ টি মামলার একসঙ্গে শুনানি ছিল এদিন। সেখানেও দেখা যায়, কোনও আইনজীবী বলছেন, অপর পক্ষ মামলার কপি দেয়নি, কেউ আবার বলছেন তাঁদের মামলার শুনানি শেষ হয়ে গিয়েছে। এছাড়া কিছু মামলায় এদিন রাজ্য সরকার, নির্বাচন কমিশন হলফনামা জমা দিয়েছেন। প্রধান বিচারপতি এদিন নির্দেশ দেন, হলফনামা পরস্পরের মধ্যে আদান প্রদান করতে হবে।