তীরে এসে তরী ডুবল চ্যাম্পিয়নদের

কুড়ি-বিশের বিশ্বকাপের সুপার এইট পর্ব জমে উঠেছে। প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে গতবারের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড হেরেছে। ঠিক যাকে বলে তীরে এসে তরী ডোবা। সেই অবস্থাই হয়েছে জস বাটলারদের সঙ্গে। দুরন্ত ছন্দে থাকা কুইন্টন ডি’কক, কাগিসো রাবাডারা আটকে দিলেন ইংল্যান্ডকে। ওপেনার ফিল সল্ট ব্যর্থ হতেই টিম জয়ের স্বাদ পেল না। যার ফলে এ বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল কার্যত নিশ্চিত দক্ষিণ আফ্রিকার।

টস জিতে প্রথমে প্রোটিয়াদের ব্যাটিংয়ে পাঠান ইংল্যান্ড ক্যাপ্টেন জস বাটলার। কুইন্টন ডি’ককের ৬৫ রান ও ডেভিড মিলারের ৪৩ রানের সুবাদে ৬ উইকেটে ১৬৩ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৯ রান করেন ওপেনার রিজা হেন্ড্রিক্স। ক্যাপ্টেন এইডেন মার্কব়্যাম রান পাননি। ১ করেন তিনি। ৮ রান করে রান আউট হন হেনরিখ ক্লাসেন। ১২ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন ত্রিস্টান স্টাবস। এবং কেশব মহারাজ ৫ নট আউট। জোফ্রা আর্চার তুলে নেন ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বাধিক ৩টি উইকেট।

বিশ্বজয়ীদের সামনে ১৬৪ রানের টার্গেট বড় ছিল না। কিন্তু ফিল সল্ট ফ্লপ হতেই ইংল্যান্ডের পারফরম্যান্সও আশানুরূপ হল না।এ বারের টি-২০ বিশ্বকাপের প্রতি ম্যাচেই শুরুটা মোটের উপর ভালোই করছিলেন ওপেনার ফিল সল্ট। আইপিএলে ধামাকার পর বিশ্বকাপেও একই ফর্মে দেখা যাচ্ছিল তাঁকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে অপরাজিত ৮৭ রান তাঁর প্রমাণ। কিন্তু প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে তাঁর ব্যাট চলেনি। ৮ বলে তিনি ১১ রান করেন। দলের বাকিরা জয়ের সীমানা পার করাতে পারলেন না।

প্রোটিয়া বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংই তাঁদের জিতিয়েছে। ওই পিচে বল থেমে থেমে আসছিল। তা বোঝার পর প্রোটিয়া বোলাররা জোরে বল করার জায়গায় স্লোয়ার দিতে থাকেন। যার ফলে ইংল্যান্ডের ব্যাটাররা বড় শট খেলার সুযোগ পাচ্ছিলেন না। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পর থেকে ১৪তম ওভার অবধি ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররা একটিও ৬ মারতে পারেননি।

পঞ্চম উইকেটে লিয়াম লিভিংস্টোন ও হ্যারি ব্রুকের জুটিতে ওঠে ৭৮ রান। ১৭তম ওভারে ওটনিয়েল বার্টম্যান দেন ২১ রান। যার পর খুশির হাওয়া বইতে শুরু করে ইংল্যান্ড শিবিরে। মনে হচ্ছিল ইংল্যান্ডের জয় আর বেশি দূরে নয়। কিন্তু সেই আশায় জয় ঢেলে দেন কাগিসো রাবাডা। ১৮তম ওভারের দ্বিতীয় বলে রাবাডা ফেরান লিভিংস্টোনকে (৩৩)। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ১৪ রান। প্রথম বলেই হ্যারি ব্রুককে আউট করেন অনরিখ নর্টজে। এরপরই যাবতীয় আশা শেষ হয়ে যায় ইংল্যান্ডের। এই জয়ের ফলে টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল কার্যত নিশ্চিত করল দক্ষিণ আফ্রিকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

sixteen − ten =