লোকসভা ভোট শেষ হতেই রাজ্যে ফের পা রাখতে চলেছে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল। এবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল পাঠানো হচ্ছে রাজ্যে, অন্তত এমনটাই সূত্রে খবর। জঙ্গল মহলে নিরাপত্তার জন্য পরিকাঠামো উন্নয়নে কেন্দ্রের বরাদ্দ অর্থের কাজ দেখতেই আসছে এই কেন্দ্রীয় দল, অন্তত এমনটাই সূত্রে খবর।
প্রসঙ্গত, জঙ্গলমহলের তিন জেলার মধ্যে একমাত্র ঝাড়গ্রাম এখনও কেন্দ্রীয় সরকারের ‘সিকিউরিটি রিলেটেড এক্সপেন্ডিচার’ এর তালিকাভুক্ত। তার জেরে কেন্দ্রীয় সাহায্য পায় এই জেলা। মূলত নকশাল কার্যকলাপ প্রতিরোধ আর্থিক সহায়তা প্রকল্প এ সহায়তা পায় ঝাড়গ্রাম জেলা। বরাদ্দ অর্থ কীভাবে খরচ হচ্ছে তা দেখতেই কেন্দ্রীয় দল। আগামী ২৩ জুন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এই দল আসছে রাজ্যে। ২৮ জুন পর্যন্ত তাঁরা থাকবেন বলেই নবান্ন সূত্রে খবর।
এখনও শিলদা, লালগড়, বেলপাহাড়ি সহ জঙ্গলমহলের বিভিন্ন এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর ক্যাম্প রয়েছে। যার জন্য এখনও অর্থ বরাদ্দ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এদিকে নবান্নর তরফে দাবি করা হয়েছে, কেন্দ্রের বরাদ্দ করা অর্থ খরচ সংক্রান্ত তথ্য নথি সমেত নির্দিষ্ট সময়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তারপরে কেন এই সফর তা স্পষ্ট নয়।
উল্লেখ্য, একসময় জঙ্গলমহল অবরুদ্ধ করে রেখেছিল মাওবাদীরা। শালবানিতে জিন্দলদের ইস্পাত কারখানার উদ্বোধন করে ফেরার পথে মেদিনীপুর শহরের কাছে ভাদুতলায় ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে মাওবাদীদের মাইন বিস্ফোরণের মুখে পড়েছিল সেসময়ের মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের কনভয়। ২০০৯ সালের জুন মাস থেকে যৌথ অভিযানে নামে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রাজ্য পুলিশ। ২০১১ সালের নভেম্বরে পশ্চিম মেদিনীপুরের জামবনির বুড়িশোলের জঙ্গলে যৌথ বাহিনীর অভিযানে মৃত্যু হয় মাওবাদীদের অন্যতম শীর্ষ নেতা কিষেণজির।