রাজ্যকে টিবির ওষুধ দিচ্ছে না কেন্দ্র! অভিযোগ স্বাস্থ্য দপ্তরের

কলকাতা: টানা ৬ মাস ধরে বাংলার টিবি রোগীদের ওষুধ পাঠাচ্ছে না কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সেন্ট্রাল টিবি ডিভিশন। যার ফলে চরম সঙ্কটে পড়েছেন রাজ্যের যক্ষ্মারোগীরা। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ তুলল রাজ্য।
রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রের খবর, নিয়মিত ওষুধ না খেলে যক্ষ্মারোগীদের আশেপাশের মানুষও সংক্রামিত হতে পারেন। সেক্ষেত্রে এক ধাক্কায় টিবিরোগীর সংখ্যা বেড়ে যেতে পারে। উপায়û না থাকায় বহুজাতিক সংস্থার কাছ থেকে ওষুধ কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরû। ইতিমধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুর-সহ বিভিন্ন জেলায় জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকরা বাজার থেকে ওষুধও কিনছেন যক্ষ্মারোগীদের জন্য।
সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সেন্ট্রাল টিবি ডিভিশন থেকে গত ৬ মাস ধরে নিয়মিত ওষুধ পাঠাচ্ছে না। ফলে যক্ষ্মারোগীদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। সমস্যা মেটাতে আমরাই ওষুধ ক্রয় করে রোগীদের দিচ্ছি।’
২০২৫ সালের মধ্যে ভারতকে যক্ষ্মামুক্ত করার ডাক দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেখানে যক্ষ্মার জীবনদায়ী ওষুধ সরবরাহে কেন্দ্রের উদাসীনতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। স্বাস্থ্য দপ্তরের এক কর্তা বলেন, ‘যক্ষ্মার ওষুধ নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত নিলে অধিকাংশ আক্রান্ত সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যান। বাকি ১-২ শতাংশ ড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট টিবি রোগীকে হাতেগোনা কিছু ওষুধ ও ইঞ্জেকশন নিতে হয়। তাহলে তাঁদের রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকে। কেন্দ্রের এই নির্ধারিত ওষুধ সরবরাহ অনিয়মিত হওয়ায় যক্ষ্মারোগীদের প্রাণ সংশয়ের পাশাপাশি আশেপাশে সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ছে।’
স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ড্রাগ সেনসেটিভ যক্ষ্মারোগীদের সরকারের তরফে ছ’মাসের ওষুধের কোর্স করানো হয়। নির্দিষ্ট ডোজের ওই ওষুধ খেলে রোগীরা সেরে ওঠেন। কিন্তুু গত ৬ মাস ধরে ওই ওষুধই দিল্লি থেকে নিয়মিত কলকাতায় আসছে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eighteen − 14 =