শনিবার সকালে সিবিআই দপ্তরে তৃণমূল সাংসদ অভিষেকের হাজিরা দেওয়ার কথা সামনে আসতেই শনিবার সকাল থেকে বদলে গেল নিজাম প্যালেসের চেহারা। অভিষেক পা দেওয়ার আগেই নিজাম প্যালেসের সামনে উপস্থিত হন কলকাতা পুলিশের একাধিক উচ্চপদস্থ অফিসার। উপস্থিত হন অভিষেকের ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীরাও। বাড়ানো হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। মোতায়েন করা হয়েছে প্রচুর পুলিশ। নিজাম প্যালেসে যত সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকে, শনিবার সেই সংখ্যাটা বাড়িয়ে দেওয়া হয় অনেকটাই। পুলিশের কনস্টেবলের সংখ্যাও চোখে পড়ার মতো। নিজাম প্যালেসের গেট থেকে শুরু করে বিল্ডিং পর্যন্ত ঘিরে দেওয়া হয়েছে গার্ডরেল দিয়ে। নিরাপত্তা খতিয়ে দেখতে উপস্থিত হন কলকাতা পুলিশের দু জন ডিসি পদমর্যাদার, ৪ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার, ৪ জন ইন্সপেক্টর। এছাড়াও রয়েছেন ১৬ জন সাব ইন্সপেক্টর, ৫০ জন কনস্টেবল ও হোমগার্ড।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্ররা সিবিআই-এর হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার সময় এই নিজাম প্যালেসের বাইরে দেখা গিয়েছিল বিক্ষোভের ছবি। নারদ কাণ্ডে ফিরহাদ, মদন ছাড়াও গ্রেফতার করা হয়েছিল সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কেও। সেদিন নিজামের বাইরে ছিল প্রচুর তৃণমূলকর্মীর ভিড়। এরপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় স্বয়ং পৌঁছে যান সেখানে। যান মন্ত্রী মলয় ঘটকও। সব মিলিয়ে এক চূড়ান্ত বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈর হয়েছিল নিজাম প্যালেসের সামনে। এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, সে ব্যাপারেও সতর্ক রয়েছে কলকাতা পুলিশ।