রাজ্য বিধানসভার বাজেট অধিবেশন আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে। অধিবেশন চলবে ১৭ তারিখ পর্যন্ত। বিধানসভার সচিবালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথা মাফিক ৫ তারিখ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের অভিবাসনের মধ্যে দিয়ে অধিবেশনের সূচনা হবে। এর পর কয়েক দিন রাজ্যপালের ভাষণের উপর শাসক ও বিরোধী দলের বিধায়করা আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন। তার পর নির্ধারিত দিনে পেশ করা হবে রাজ্য বাজেট।
রাজ্যের অর্থ দপ্তরের স্বাধীন দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ২০২৪-২৫ আর্থিক বছরের রাজ্য বাজেট পেশ করবেন। তবে কবে বাজেট পেশ করা হবে সে ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনো জানা যায়নি। আগামী লোকসভা ভোটের প্রেক্ষিতে এবার আগামী আর্থিক বছরের তিনমাসের জন্য অন্তর্র্বতী বাজেট পেশ করা হবে বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে। ভোটের পর পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করা হতে পারে।
এদিকে বিধানসভায় ইংরেজি নতুন বছরের প্রথম অধিবেশনের সূচনায় রাজ্যপালের ভাষণ নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। প্রথা অনুযায়ী মূলত রাজ্য সরকারের কর্মকাণ্ড ও আগামী পরিকল্পনার কথা উঠে আসে রাজ্যপালের বক্তব্যে। তবে সন্দেশখালিকাণ্ড- সহ সাম্প্রতিক একাধিক ঘটনায় রাজ্যের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাত চরম আকার নিয়েছিল।
বিধানসভায় পাশ হওয়া একাধিক বিল, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা, পঞ্চায়েত ভোট সংক্রান্ত বিষয়ে রাজ্যের সঙ্গে রাজভবনের সংঘাত বেধেছিল। একাধিক ক্ষেত্রে রাজ্যের সমালোচনাও করেছিলেন রাজ্যপাল। সন্দেশখালির সাম্প্রতিক ঘটনায় প্রকাশ্যেই মন্তব্য করেছেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। কিন্তু তৃণমূল শিবিরের পাল্টা বক্তব্য, রাজ্যে নির্বাচিত সরকার রয়েছে। সরকারের কর্মকাণ্ডে নানা ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি করছে রাজভবন। তাছাড়া রাজভবনকে পার্টি অফিসে পরিণত করেছে বিজেপি। এই অবস্থায় বিধানসভায় রাজ্যপালের বক্তব্যের দিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের। বিধানসভার শুরুতে রাজ্যপাল রাজ্যের সম্পর্কে কী কী শব্দ ব্যবহার করেন, তা নিয়েও কৌতূহল তৈরি হয়েছে। এর আগের রাজ্যপালের সময় ভাষণ-বিবৃতি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। এবার রাজ্যপাল যখন বিধানসভায় ভাষণ দেবেন, তখন বিজেপি বিধায়কদের আচরণ নিয়েও কৌতূহল রয়েছে।