কলকাতা: বাচ্চার জন্মের সার্টিফিকেটের খরচটা একটু কমিয়ে দিতে বলুন না। গরিব মানুষ, কোথায় এত টাকা পাব?
পুরসভার কাজকর্ম খতিয়ে দেখতে সপ্তাহে একদনি গার্ডেনরিচ রোডের বরো অফিসে বসেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সেখানেই একজন মহিলার মুখে একথা শুনে অবাক তিনি। কারণ, গোটা প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতে পুরসভা জন্মের শংসাপত্র আবেদনের ব্যবস্থা অনলাইনে করে দিয়েছে। এজন্য একটা টাকাও খরচ হয় না। মেয়রের তৎপরতায় শেষ পর্যন্ত ধরা পড়ল দালাল চক্রের সদস্য।
দালাল রাজ ঠেকাতেই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিয়েছে পুরসভা। কলকাতা পুরসভার নিজস্ব ওয়েবসাইটে গিয়ে জন্মের শংসাপত্রের আবেদন করা যায়। শংসাপত্র পাওয়ার তারিখও জানা যায় সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে। আসল নথি নিয়ে গিয়ে দেখালেই মেলে শংসাপত্র। মহিলাকে জিজ্ঞেস করে ফিরহাদ জানতে পারেন, ওই মহিলার তিনটি বাচ্চার জন্মের শংসাপত্রের জন্য দালালরা শিশু পিছু ৬ হাজার টাকা চেয়েছে! সতর্ক হন মেয়র। সোজা ফোন যায় থানায়। তারপর ধরা পড়ে জন্মের সংশাপত্র পাইয়ে দেওয়ার নামে টাকা খাওয়ার দালাল চক্র। জানা গিয়েছে, এক শ্রেণির অসাধু লোক সাধারণ মানুষের অজ্ঞতা, অনলাইনে আবেদন করতে না পারার সুযোগটাকে কাজে লাগিয়েই টাকা তুলছিল। অভিযোগ, শিশু পিছু ৬ হাজার টাকা দালালের হাতে গুঁজে দিলে নবজাতকের সরকারি শংসাপত্র মিলছিল। তা জানার পরই ব্যবস্থা নেন কলকাতা পুরসভার মেয়র।
ফিরহাদ বলেন, ‘অসাধুচক্র বন্ধ করতেই পুরসভায় অনলাইন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। জন্মের শংসাপত্রের জন্য এক টাকাও লাগে না। কিন্তু গরিব মানুষ অনলাইনের বিষয়টি জানেন না। সেই সুযোগটাকেই কাজে লাগাচ্ছে অসাধুচক্র।’
জানা গিয়েছে, প্রমাণ সহ দালালকে ধরতে ফিরহাদ হাকিম পুলিশের সঙ্গে নগদ টাকা দিয়ে পাঠান নিজের নিরাপত্তারক্ষীকে। দালাল টাকা নেওয়ার সময়ই তাকে হাতেনাতে ধরে পুলিশ।