কলকাতা: বয়স তার ১০। কিন্তু শারীরিক গঠন বিশেষত স্তনের আকার ছিল ঋতুমতী মেয়েদের মতোই। দেখলে মনে হত মধ্যবয়স্ক মহিলার চেহারা। শুধু তাই নয় ছোট মেয়ের এমন স্তন বাড়তে থাকায় বন্ধু-বান্ধব থেকে সমাজ অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছিল তাকে ও তার পরিবারকে।
শেষে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজই দেখাল আশার আলো। চিকিৎসকরা পরীক্ষা- নিরীক্ষা করে বুঝতে পারলেন অতি বিরল রোগে আক্রান্ত নাবালিকা।ডাক্তারি পরিভাষায় যাকে বলা হয় ‘জাইগান্টোমাস্টিয়া’। শেষে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তাকে সুস্থ করে তুললেন চিকিৎসকরা।
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ব্রেস্ট অ্যান্ড এন্ডোক্রিন সার্জারি ক্লিনিকের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, একটা নির্দিষ্ট বয়সের পর কিছু কিছু মেয়ের স্তনের আকার আচমকা বাড়তে শুরু করে। রোগের নাম ‘জাইগান্টোমাস্টিয়া’। কিন্তু তা ১৮ ঊর্ধ্ব ঋতুমতী মেয়েদের ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে। ১০ বছরের নাবালিকার দেহের এমন অস্বাভাবিকত্ব বেশ বিরল, সাধারণত দেখা যায় না।
বছর খানেক ধরে এই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছিল ওই নাবালিকা। ২০২১ সাল থেকে তার স্তনের প্রস্ফুটন শুরু হয়। তখনও তার ঋতুচক্র শুরু হয়নি। খুব দ্রুত তা এমনই বাড়তে থাকে, দেখলে মনে হবে কোনও বয়স্ক মহিলা। মেয়েটির পিঠে মাঝেমধ্যেই মারাত্মক যন্ত্রণাও হত। সব মিলিয়ে ১০ বছরের মেয়ের শৈশবটাই অস্বাভাবিক হয়ে উঠেছিল।
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকরা মেয়েটির চিকিৎসা করতে গিয়ে জানতে পারেন তাঁর বাঁ দিকের স্তনে একটি টিউমার রয়েছে। অপারেশন করে সেটি বাদ দেওয়া হয়। তারপর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছে ওই নাবালিকা।