কলকাতা: নজিরবিহীন বেনিয়মের অভিযোগ উঠল আরজি কর হাসপাতালে। ময়নাতদন্তের দেহ চলে গেল ডাক্তারি পড়ুয়াদের প্রশিক্ষণের জন্য। আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এই ঘটনায় বিস্মিত, হতচকিত চিকিৎসক মহল। ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক ও অধ্যাপকদের নির্দশনযোগ্য শাস্তির দাবি উঠেছে।
জানা গিয়েছে, অ্যানাটমির শিক্ষার জন্য ৬টি টাটকা মৃতদেহের দরকার ছিল। হাসপাতালের ইএনটি বিভাগের চিকিৎসকরা ৬টি মৃতদেহের জন্য চিঠি লিখেছিলেন হাসপাতালের অধ্যক্ষকে। অধ্যক্ষ সেই খবর পৌঁছে দেন ফরেন্সিক বিভাগে। সূত্রের খবর, ফরেন্সিক থেকে জানানো হয় যে টাটকা দেহ পাঠানো হবে।
কিন্তু সমস্যা তৈরি হয় অন্য জায়গায়। ময়নাতদন্তের জন্য পাঁচটি দেহ আসে হাসপাতালের মর্গে। সেগুলোই বিনা অনুমতিতে চলে যায় অ্যানাটমি বিভাগে। পোস্ট মর্টেমের জন্য রাখা সেইসব দেহ কাটাছেঁড়া করেই অ্যানাটমির ক্লাস হয়। পরে সেগুলো আবার ফিরে যায় মর্গে। সেই দেহগুলোর পোস্ট মর্টেমও হয়। তারপর তুলে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে।
খবর প্রকাশ্যে আসতেই তুলকালাম শুরু হয়। অভিযোগ, ময়নাতদন্তের জন্য আসা দেহ অ্যানাটমির জন্য ব্যবহার করা যায় না। অ্যানাটমি ক্লাসের জন্য টাটকা দেহ দরকার হয় যার জন্য আবেদন করতে হয়। সবটাই একটা প্রক্রিয়া মেনে হয়। এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। তাঁর নির্দেশেই নাকি ময়নাতদন্তের জন্য আনা দেহ পাঠানো হয়েছিল ছাত্রছাত্রীদের প্রশিক্ষণে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে আরজিকর হাসপাতালের অধ্যক্ষ দায় চাপিয়েছেন ফরেনসিক মেডিসিনের অধ্যাপকদের ওপর। অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে পালটা অভিযোগ এনে বিভাগীয় অধ্যাপকদের দাবি, গত ২১ তারিখ অধ্যক্ষ লিখিতভাবে নির্দেশ দিয়েছিলেন। তাঁর কথায়, ‘পুরো ঘটনাটি ভুয়ো। এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। এমন কিছু ঘটলে আমি তদন্ত করে দেখব।’
গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখে তদন্ত করার দাবি উঠেছে।