নিজস্ব প্রতিবেদন, আসানসোল: চিত্তরঞ্জনের কস্তুরবা গান্ধি হাসপাতালের প্যাথলজি রুমের ভেতর থেকে এক কর্মীর মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনা জানাজানি হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। শনিবার সকালে তাঁর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত কর্মীর নাম কৃষ্ণ মুরারি সিং (৫৯)। তিনি এই হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগের একজন কর্মী। সামনের জুলাই মাসেই চাকরি থেকে তাঁর অবসর নেওয়ার কথা ছিল। শুক্রবার রাতে দু’জন রোগীকে রক্ত দেওয়ার প্রয়োজনে তিনি হাসপাতালেই ছিলেন। অন্যদিনের মতো শুক্রবার বিকেল পাঁচটায় কাজ সেরে তিনি বাড়ি ফিরে যান। পরে পরিবারের লোককে জানান জরুরি কাজে তাঁকে আবার হাসপাতালে যেতে হবে এরপর রাত আটটা নাগাদ পুনরায় হাসপাতালে যান।
গভীর রাত পর্যন্ত তিনি বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন তাঁকে ফোন করলেও তিনি ফোন ধরেননি বলে দাবি। পরিবারের দাবি, রাতেই বাড়ির লোকজন হাসপাতালে গিয়ে দেখেন প্যাথলজি রুমের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। এরপর শনিবার সকালে এসেও পরিবারের লোকজন দেখেন প্যাথলজি রুমের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ, ডাকাডাকি করেও কোনও সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। এরপর হাসপাতালের ভেতরের অন্য রুম দিয়ে প্যাথলজি বিভাগের দরজা খুলে তাঁরা ভেতরে ঢুকে দেখেন অচৈতন্য অবস্থায় মেঝেতে কৃষ্ণ মুরারিবাবু পড়ে আছেন। অনেক আগেই তাঁর মৃত্যু ঘটেছে বলে অনুমান করতে পারেন। জানা গিয়েছে, প্যাথলজি রুমের চাবি কৃষ্ণ মুরারিবাবুর কাছেই থাকে। সেই চাবি খুলেই সম্ভবত রাতে তিনি সেখানে ঢোকেন এবং তারপর এই অঘটন ঘটে। তিনি সম্ভবত আত্মঘাতী হয়েছেন বলে হাসপাতাল সূত্রের অনুমান।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর বড় ছেলে ক্যান্সার আক্রান্ত। আর একটি ছেলে বাইরে চাকরি করেন। বেশ কিছুদিন ধরে কৃষ্ণ মুরারিবাবু চুপচাপ হয়ে গিয়েছিলেন। সম্ভবত মানসিক অবসাদের কারণেই তিনি চূড়ান্ত পরিণতির পথ বেছে নিলেন বলে অনুমান করা হচ্ছে। দেহের ময়নাতদন্তের পর পরিষ্কার হবে কী ভাবে তাঁর মৃত্যু হল।