হাওড়ার সাঁকরাইল থানার চুনাবাটি এলাকায় নিজের বাড়ি থেকে মিলল এক গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ। পুলিশ সূত্রে খবর, বছর চব্বিশের এই গৃবধূর নাম মনীষা দাস।এই ঘটনায় মৃত মনীষার পরিবারের সদস্যদের তরফ থেকে অভিযোগ তোলা হয় মনীষার শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের দিকেই। এই অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথমেই মনীষার স্বামী দেবচাঁদ গুপ্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর গ্রেফতার করা হয় তাঁর শ্বশুর অক্ষয় রাজ গুপ্তা এবং শাশুড়ি রাজকুমারী গুপ্তাকে।
মনীষার পরিবার সূত্রে খবর, ব্যারাকপুর কমিশনারেটের বরানগর থানা এলাকার আলম বাজারে বাড়ি মনীষার। দেবচাঁদ গুপ্তর সঙ্গে মনিীষার বিয়ে হয় ২০২১ এর ২৬ সেপ্টেম্বর। এই বিয়ের আগে দেবচাঁদের সঙ্গে মণীষার পরিচয় ছিল বলেই জানান মনীষার পরিবারের সদস্যরা। যা পরে বিবাহে পরিণত হয়। এদিকে এদিনের ঘটনায় মনীষার মনীষার বাবা মনোজ দাস ও বোন নিশা দাস জানান, মনীষার লাশ ফাঁস থেকে ঝুলে থাকলেও তার দুই পা মাটিতে স্পর্শ করেছিল।
একইসঙ্গে মনীষার বাবা-মা এ অভিযোগও করেন, বিয়ের পর থেকে যৌতুকসহ নানা কারণে মনীষাকে মানসিকভাবে হয়রানি করা হচ্ছিল। এরপর গত ৮ সেপ্টেম্বর সকালে মনীষার মৃত্যুর খবর পান তার বাবা-মা। এর আগের রাতে সাড়ে দশটা নাগাদ মনীষা তাঁর বাবা মনোজ দাসকে ফোনে জানান, তাঁকে নির্যাতন করা হচ্ছে। সঙ্গে এও জানান, তাঁকে যেন তাঁর শ্বশুরবাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ফোন পেয়ে ময়ে মনীষাকে সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেন তাঁর বাবা মনোজ দাস। সঙ্গে এও আশ্বাস দেওয়া হয়, সকালেই তাঁকে নিজের বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হবে।এরপর সকাল হতে না হতেই মনীষার মৃত্যুর খবর আসে। এদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার মনীষার ময়নাতদন্ত করা হয়। একইসঙ্গে ঘটনার তদন্তেও নেমেছে পুলিশ।