নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঁকুড়া: বোর্ড গঠনের আগে তৃণমূলের দুই পঞ্চায়েত সদস্য সহ তিনজনকে অপহরণ করার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। পুলিশ অভিযোগ পেয়েই বিজেপির বিষ্ণুপুর জেলা কার্যালয় থেকে উদ্ধার করল তিনজনকে। যদিও অপহরণের অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি।
গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের ঠিক আগে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বাঁকুড়ার ওন্দা ব্লক। ওন্দা ব্লকের চুড়ামণিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে দুই তৃণমূল সদস্য সহ তিনজনকে অপহরণের অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। অভিযোগ পেতেই পুলিশ বিষ্ণুপুরে বিজেপির দলীয় জেলা কার্যালয় থেকে ওই তিনজনকে উদ্ধার করে। বাঁকুড়ার ওন্দা ব্লকের চুড়ামণিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন ১১টি। এর মধ্যে ৭টিতে জয় পায় তৃণমূল। তিনটি আসন যায় বিজেপির ঝুলিতে, একটি আসনে সিপিএম প্রার্থী জয়ী হন। ফলাফলের নিরিখে তৃণমূলের একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে। তৃণমূলের অভিযোগ, তাদের দুই জয়ী সদস্যকে অপহরণ করে নিজেদের দলে যোগদান করিয়ে সিপিএম সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে বোর্ড গঠনের পরিকল্পনা করেছিল বিজেপি। তৃণমূলের দাবি, এই উদ্দেশ্য সফল করতে তৃণমূলের টিকিটে জয়ী বন্দনা রায় ও সঞ্জয় মান্ডি নামের দুই পঞ্চায়েত সদস্যকে গতকাল অপহরণ করে নিয়ে যায় বিজেপি।
বন্দনা রায়ের পরিবারের তরফে অপহরণের অভিযোগ পেতেই তদন্তে নামে ওন্দা থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ওই দুই পঞ্চায়েত সদস্যের মোবাইল টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে গতকাল রাতে বিষ্ণুপুরে বিজেপির সাংগঠনিক জেলা কার্যালয় থেকে দুই সদস্য সহ তিনজনকেই উদ্ধার করা হয়েছে। ওন্দা থানার পুলিশ জানিয়েছে, দুই পঞ্চায়েত সদস্য সহ তিনজনকেই বুধবার বাঁকুড়া জেলা আদালতে তোলা হবে। ঘটনায় কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
বিজেপি অপহরণের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বিজেপির দাবি, অপহরণ, ভোট লুঠ, ব্যালট খেয়ে ফেলার সংßৃñতি তৃণমূলের। এই ধরনের কোনও কাজে বিজেপি বিশ্বাস করে না।